গ্রাম বাংলা ডেস্ক: ছড়াকার ও সাংবাদিক ওবায়দুল গনি চন্দন আর নেই (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সাংবাদিক চন্দনের মৃত্যুতে গ্রাম বাংলা পরিবার গবীরভাবে শোকাহত।
সকাল ৮টায় রাজধানীর কলাবাগানে এক বন্ধুর বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। বিকাল পৌনে ৩টায় চন্দনের লাশ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা হয়। জানাজা শেষে উপস্থিত সাংবাদিক ও সহকর্মীরা তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে মিরপুর কবরস্থানে মরহুমের লাশ দাফন করা হয়। এর আগে বাদ জোহর গুলশানে মরহুমের কর্মস্থল দৈনিক মানবকণ্ঠ কার্যালয়ে প্রথম নামাজে জানাজা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক ছেলেসহ আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী রুবিনা মোস্তফা এসএ টিভির সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত আছেন। ওবায়দুল গনি চন্দনের পৈতৃক বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইলে। ছোটবেলা থেকেই তিনি ঢাকায় থাকতেন। চন্দনের সহকর্মীরা জানান, দীর্ঘদিন তিনি হৃদযন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন। সমপ্রতি ফুসফুসে পানি জমে গেলে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। চন্দন সর্বশেষ দৈনিক মানবকণ্ঠের ফিচার সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলাভিশন ও বৈশাখী টিভিতে প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেছেন। ইন্ডিপেনডেন্ট টিভিতে ডেপুটি নিউজ এডিটরের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও রম্য সাময়িকী কার্টুনে ও কিশোর তারকালোকেও কাজ করেছেন তিনি। সাংবাদিক ছাড়াও একজন ছড়াকার হিসেবে খ্যাতি ছিল ওবায়দুল গনি চন্দনের। ছড়ার জন্য ২০০০ সালে অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার পান তিনি। ছড়ার পাশাপাশি তিনি ছোটগল্প, গান ও টিভি নাটক লিখতেন। তার ছড়ার বইয়ের সংখ্যা ২২টি। ওবায়দুল গনি চন্দনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে সাংবাদিক সমাজ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। তার মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।