বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার হ্যাক করে রিজার্ভের ৮০০ কোটি টাকা চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন ব্যাংকের ১২ কর্মকর্তার একটি তালিকা গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। ওই ১২ কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছেন গোনন্দারা। এরই মধ্যে চারজনের ইউজার আইডি ও সুইফট কোড হ্যাক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, হ্যাকিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন। এমনকি অর্থ হাতিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়ার পুরো বিষয়টি তারা আগে থেকেই জানতেন। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সন্দেহভাজন ১২ কর্মকর্তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করা হবে না। গত এক বছরে তারা কি কি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করেছেন, কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। বিদেশে গিয়ে কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। নামে-বেনামে তাদের মোবাইল ফোনে কারা কথা বলেছেন এবং কি কথা বলেছেন তা এরই মধ্যে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। তদন্তের এ পর্যায়ে কয়েকজনের বিষয়ে জড়িত থাকার যথেষ্ট আলামত তারা পেয়েছেন। তবে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করার মতো তথ্য-উপাত্ত পেলেই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
গোয়েন্দাদের নজরদারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১২ কর্মকর্তা
এদিকে নয়াদিল্লি সফরে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আতিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, হ্যাকিংয়ে জড়িত থাকাদের পরিচয় শিগগিরই পাওয়া যাবে। তিনি জানিয়েছেন, অর্থ চুরির ঘটনা সারা বিশ্বের আর্থিক ব্যবস্থার জন্যই একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে।