আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান সংঘাত-সংঘর্ষ থামাতে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানান কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ। তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গা থেকে সংঘর্ষ হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে। স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে বলেছি। কেউ যেন কারও ওপর চড়াও হতে না পারে। শাহনেওয়াজ আরও বলেন, গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে- ইসিতে অভিযোগের স্তূপ। কিন্তু অসংখ্য অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া যায় না। আমরা যেসব নির্দিষ্ট অভিযোগ পাচ্ছি, সেগুলোর প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তিনি বলেন, নির্বাচনী কাজে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কারো অবহেলা দেখলে তাদেরকেও ছাড় দেয়া হবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবার সহযোগিতা লাগবে। তবে কারোর গাফলাতির কারণে নির্বাচনটা যেন নষ্ট না হয়। এজন্যে সব রকম সতর্কতার সঙ্গে তারা যেন কাজ করে। কোন ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না। যেখানে অনিয়ম দেখবো সেখানে জিরো টলারেন্স দেখাতে বলেছি কর্মকর্তাদের।
সংঘর্ষ সামাল দিতে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে ইসির নির্দেশ
ক্ষমতাসীনদের আচরণ বিধি ভঙ্গ করার বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা এরইমধ্যে সংসদ সদস্যসহ সর্বোচ্চ পর্যায়ের লোকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। মামলাও করেছি। বিধি লঙ্ঘন করলে কাউকে ছাড় না দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমাদের নজরে এলেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে নিবন্দুমাত্র পিছপা হব না। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে এ নির্বাচনটি সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে যেন হয়। কিছু লোকের জন্য তা নষ্ট না হয়, শক্তভাবে সেদিকে নজর রাখছি। এসময় দল মত নির্বিশেষে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সব দলের সহযোগিতা চান তিনি। শাহনেওয়াজ বলেন, আচরণ বিধি লঙ্গণ করবেন না- এটা আমাদের অনুরোধ, সতর্কবাণী হিসেবেও দেখতে পারেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা প্রথমে নির্বাচনের দিকে খেয়াল রাখছি। কোন দল কতটুকু নাখোশ হলো, কতটুকু বিরক্ত হলো সে দিকে নজর রাখছি না। এবার আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাও করেছি। ভবিষ্যতেও তারা যেন অপ্রিয় কোন কাজ করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখছি।