ঢাকা : দেশের ব্যবসায়িদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) পাটশিল্পের উন্নয়নে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে আগ্রহী। সরকার ও বেসরকারিখাত এক সঙ্গে কাজ করলে দেশের পাটখাত আবার তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে। সেই সঙ্গে পাটচাষীরাও উপকৃত হবে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যেগে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক আইন ২০১০ এর সফল বাস্তবায়নে অবদানের জন্য এফবিসিসিআইকে স্বীকৃতি দেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে সংগঠনটির পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়েছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে মহাসচিব মীর শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এ বার্তা দেন।
বার্তায় বলা হয়, পাট আমাদের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত। আমাদের ইতিহাসে পাটের এক সোনালী অধ্যায় আছে। তবে মাঝখানে দেশের পাটশিল্প অনেক অবহেলার শিকার হয়েছিল। বিশ্ববাসী আবারও প্রাকৃতিক এ তন্তু ব্যবহারে উৎসাহিত হচ্ছে। ফলে দেশ-বিদেশে পাটের বাজার সম্প্রসারণের এক উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়ে এ পণ্যের বিপণন ও রপ্তানির ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়ায় এফবিসিসিআই তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানায়। পাটজাত পণ্যের বিষয়ে সচেতনতা এবং চাহিদা বাড়ায় বৃহৎ পাট উৎপাদক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য বিশাল এক সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচিত হয়েছে। বিষয়টি উপলব্ধি করে বর্তমান সরকার গত কয়েক বছর ধরে পাটখাতের উন্নয়নে অত্যন্ত ইতিবাচক ও কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করে চলেছে। দেশের ব্যবসায়িদের শীর্ষ সংগঠন হিসেবে এফবিসিসিআই পাটশিল্পের উন্নয়নে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে আগ্রহী। সরকার ও বেসরকারি খাতের সম্মিলিত চেষ্টায় দেশের পাটখাত আবার তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে। সেই সঙ্গে পাটচাষীরাও উপকৃত হবে বলে এফবিসিসিআই আশা প্রকাশ করছে।