বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে: সবক্ষেত্রে নারীরা সুচারুভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা নারীদের প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবস্থান ভারত-পাকিস্তানের আগে রয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সচিবালয় থেকে সব জায়গায় ডেকেয়ার সেন্টার চালু করেছি। স্বামী পরিত্যক্তা, নির্যাতিত নারীদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছি। নারীদের জন্য নীতিমালা করেছি। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। যৌতুক নিরোধ আইন সংশোধন করে যুগপোযোগী করা হচ্ছে। আরও করা হচ্ছে ক্রাইসিস সেন্টার। মেয়েরা যেনো আইনি সহায়তা পায় সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার চালু করা হয়েছে। সেখানে ব্যবস্থা করা হয়েছে নারীদের কর্মসংস্থানের। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায়ই সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো।
তিনি বলেন, আমাদের কারও দিকে মুখাপেক্ষী হতে থাকলে চলবে না। নিজেদের এগিয়ে যেতে হবে। নিজের মর্যাদা নিজেকেই কর্মের মধ্য দিয়ে অর্জন করতে হবে। সরকার প্রধান, সংসদের স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা সবাই নারী। বিশ্বের কোথাও এ ধরনের নজির নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই।
সমাজের সবাইকে একসঙ্গে দেশকে উন্নত করতে হবে। ইসলাম ধর্মই নারীদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। ইসলাম ধর্মে নারীর গৌরবের ইতিহাস রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে নারীদের ১০ শতাংশ কোটা বঙ্গবন্ধু চারু করে গেছেন। নারীদের অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করে গেছেন। ২০১০ সালে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল পর্যায় থেকে স্থানীয় সরকার প্রক্রিয়া শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেই। উপজেলা পরিষদে নারীরা আসার প্রক্রিয়া করেছি। স্থানীয় সরকারের সবক্ষেত্রে নারীদের আসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী তিন বাহিনীতে নারীদের উপস্থিতি, জজকোর্টে নারী, নারী পাইলটসহ বাংলাদেশের জন্য সাঁতার ও ভারোত্তলনে দুই নারীর স্বর্ণ জয়ের কথা উল্লেখ করেন।
‘অধিকার মর্যাদায় নারী-পুরুষ সমান সমান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস।