রিজার্ভ থেকে ৮০০ কোটি টাকা চুরি

Slider অর্থ ও বাণিজ্য

 

 

2015_12_22_20_29_35_ytECQydnpdvdG8wQVGOfsDtRjPLttM_original

 

 

 

 

 

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ডলার চুরি হয়েছে।  বিদেশি হ্যাকারদের মাধ্যমে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, ইতোমধ্যে চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত পেতে বাংলাদেশ ব্যাংক জোর তৎপরতা শুরু করেছে। তবে এই টাকা আসলে ফেরত পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার একটি অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সাইবার অপরাধীরা। প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, চীনা হ্যাকারদের একটি দল বিপুল এ অর্থ প্রথমে ফিলিপাইনের ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে অন্য কোথাও পাচার করে।

অর্থ চুরির বিষয়টি জানার পর দ্রুত তৎপরতা শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই অর্থ ফিলিপাইনে স্থানান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সেখানে দুই কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়। তারা ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুদিনে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করে এসেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে ফিলিপাইনের দৈনিক দ্য ইনকোয়েরার পত্রিকায় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে ১০ কোটি ডলার মানি লন্ডারিং হয়েছে বলে একটা খবর প্রকাশ করে। ওই খবরে বলা হয়, দেশটির মাকাতি শহরে অবস্থিত রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের একটি শাখার মাধ্যমে ওই অর্থ ফিলিপাইনে আসে। চীনা হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা সেখানকার কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এ অর্থ হাতিয়ে নেয়। হ্যাকার দল এ অর্থ প্রথমে ফিলিপাইনে পাচার করে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অর্থ পাচারের এ ঘটনা তদন্ত করছে ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল।

জানা যায়, রিজার্ভের অর্থ কোন দেশে, কোথায় বিনিয়োগ বা সংরক্ষণ করা আছে তা সুইফট কোডের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিশ্বব্যাপী সুরক্ষিত হিসেবে বিবেচিত এ নেটওয়ার্ক হ্যাক করে রিজার্ভ থেকে টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র এএফএম আসাদুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, আমরা আপনাদের সামনে সব তথ্য বিকেল ৪টায় তুলে ধরবো। সেখানেই সব জানানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *