গণতন্ত্রে নতুন ‘রোগ’ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভোটাধিকারের সর্বনাশ 

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা বাধ ভাঙ্গা মত

1457027130_20

 

 

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতের স্রোতে সংবিধানের ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’ শব্দটি উপহাসে পরিণত হচ্ছে। জনগণের ভোটের অধিকার যেন ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় নির্বাচনে এখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত হওয়ার ‘খায়েশ’ বেড়েই চলেছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর বিতর্কিত নির্বাচনের পর এই ‘চেতনা’(!) ক্ষমতাসীন দলের নেতানেত্রীদের আরো উজ্জীবিত করছে। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ সুজনের সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের মতে, এ প্রবণতা চলতে থাকলে ১০/১৫ বছর পর নির্বাচনে জনগণের ভোট দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না। প্রভাবশালী প্রার্থীরা ‘আত্মমর্যাদা’ বাড়াতে ক্যারিশমা করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাবেন। নাগরিকের ভোটের অধিকার গৌণ হয়ে যাবে। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের ভাষায়, এ ধরনের প্রবণতা গণতন্ত্র চর্চায় নতুন রোগ। নির্বাচনের পর খোঁজ-খবর না নিলেও নির্বাচন ইস্যুতে ভোটাররা হন ‘একদিনের রাজা’। ভোটারদের প্রতি প্রার্থীদের দরদ উথলে পড়ে। আবার প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের তোয়াজে রাতেও বাসায় ঘুমাতে পারেন না। মধ্যরাত-গভীর রাতে প্রার্থীরা হানা দেন ভোটারদের ঘরে। কেউ কেউ বিরক্ত হলেও অধিকাংশ মানুষ এটা ‘উপভোগ’ করেন। কিন্তু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় সেই উপভোগের দিন-রজনী ক্রমশ ফিকে হয়ে আসছে। প্রশ্ন হলো ভোট পাগল মানুষের দেশে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এতো বেশি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার নেপথ্যের রহস্য কি? ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার কার্যত গৌণ হয়ে উঠে। তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও প্রায় আড়াইশ’ পৌরসভা নির্বাচনে যে প্রক্রিয়ায় ভোট নামের ‘জনরায়’  ছিনতাই হয়েছে তা বৃটিশ কলোনিয়াল যুগ এবং পাকিস্তান শাসনামলেও হয়নি। জাতীয় সংসদ, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা ছাড়াই নির্বাচিত হওয়া ভোটের নামে তামাশা যেন দেশের ১৬ কোটি মানুষকে বোকা বানিয়ে দিচ্ছে। প্রথম দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপেই রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে ২৫ ইউপিতে একক চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে শুধু বাগেরহাটেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় আওয়ামী লীগের ৩৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ ছাড়া বরগুনায় ১, জয়পুরহাট ২, খুলনায় ১ জনসহ ৬২ ইউনিয়ন পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতের তালিকায়। পৌরসভা নির্বাচনে ফেনিসহ অনেক পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার আজব ঘটনা ঘটেছে। স্বাধীনতার পর প্রায় দীর্ঘ ২০ বছরকে ধরা হয় ভোটের অধিকারের অন্ধকার যুগ। নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে ’৭৩ সালে দেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুৎসিত চিত্র থেকে শুরু করে ’৮৮ চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অন্ধকার যুগের বিস্তৃতি। এ সময়ে অনুষ্ঠিত একটি নির্বাচনেও নাগরিকরা স্বাভাবিক ভাবে ভোট প্রয়োগ করতে পারেনি। ’৯০-এর পট-পরিবর্তনের পর ’৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে জনগণের ভোটের অধিকার চর্চা শুরু বলা হয়। কিন্তু সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ’৯৬ সালের এক দলীয় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার খায়েশ জাগে ক্ষমতাসীন বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে। ’৯১ সালের নির্বাচনে ৩টি আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে সবক’টিতে পরাজিত এম সাইফুর রহমান (টেকনোক্রাট কোটায় অর্থমন্ত্রী ছিলেন) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়েন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ মুহূর্তে বেলা শেষে ঢাকা থেকে অখ্যাত এক প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে মৌলভীবাজার ডিসি অফিসে নিয়ে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়। পুলিশ দিয়ে ঢাকা শহর থেকে কয়েকজন অখ্যাত প্রার্থীকে ধরে ধরে নিজ জেলায় নিয়ে কাউকে নগদ অর্থ, কাউতে ভয়ভীতি ও কাউকে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে কয়েকজন সিনিয়র নেতা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। মজার বিষয় হলো কয়েক মাস পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপির ২৮ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পরাজিত হন। আবার আন্দোলনের মুখে ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারীর নির্বাচনে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এ নির্বাচনে প্রথম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ময়মনসিংহের ইমরান সালেহ প্রিন্স। অতঃপর সাইফুর রহমান, আবদুল মান্নান ভূঁইয়াসহ ২৫/৩০ জন নেতা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন। তাদের অনেকেই অপ্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী হিসেবে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন। কিন্তু ১/১১ রাজনৈতিক পট পরিবর্তন তাদের মুখে ছাই দিয়ে ২২ জানুয়ারীর নির্বাচিত ভন্ডুল হয়ে যায়। আর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার কার্যত ‘উপহাসে’ পরিণত হয়। প্রথম দফায় ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও পরে স্পীকারসহ আরো কয়েকজন একই পথে এমপি হন। যে সব আসনে ভোট হয়েছে সেগুলোতে জনগণ তেমন ভোট দিতে যায়নি। শুধু লালমানির হাট জেলায় ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে একটি ভোটও না পড়ায় তার প্রমাণ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগ পর্যন্ত বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার খায়েশ পূরণে নানা কর্মকৌশল হলেও নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে তা হতো। কিন্তু ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে কোনো নিয়মের তোয়াক্কা করেনি নির্বাচন কমিশন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়ার পর লাঙ্গলের প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর রিটানিং অফিসারেরা সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেন। মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়া হলেও ইসি যেমন লাঙ্গলের সব প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি; তেমনি আওয়ামী লীগের অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলেও এইচ টি ইমামের নির্দেশে তাদের মনোনয়ন এমনিতেই প্রত্যাহার হয়ে যায়। এইচ এম এরশাদ গতকালও বলেছেন, মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েও আমি এখন এমপি। এই ভেল্কিবাজীর নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, ছহুল হোসেন এমনকি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা ইসির বিরুদ্ধে চরম অনৈতিকতার অভিযোগ তোলেন। তারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস এবং ইসিকে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী হিসেবেও অভিহিত করেন। ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটের ভেল্কিবাজীর চিত্র মিডিয়ায় মানুষ দেখেছে। তারই ধারাবাহিকতায় জাতীয় নির্বাচনের মতোই স্থানীয় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার হিড়িক পড়ে গেছে।   ২০১৫ সালে সর্বপ্রথম রাজনৈতিক পরিচয়ে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে ২৩৪ জন পৌরসভা চেয়ারম্যানের মধ্যে ৭জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী। অথচ ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচন পর্যালোচনা করে দেখা যায় একটি পৌরসভাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা নেই। নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী নাগরিক প্রতিষ্ঠান সুজনের তথ্য মতে, এদেশের মানুষ এতো নির্বাচন পাগল যে স্থানীয় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া নজীরবিহীন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে এখন পর্যন্ত যে আলামত তাতে ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়’ নির্বাচিত হওয়ার খায়েশ ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের মধ্যে পাকাপোক্তভাবেই জেঁকে বসেছে। বিএনপির দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, নির্বাচনে ১১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে ধানের শীষের কোনো প্রার্থী নেই। ইসিকে তারা লিখিতভাবে জানিয়েছে, ৭৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ২০টিতে নানা কারণে প্রার্থী দিতে পারেনি। তবে বাধা দেওয়ার কারণে ৮৩টি ইউনিয়ন পরিষদে ধানের শীর্ষ প্রতীকের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। রহস্যজনক হলো নির্বাচন কমিশন এ অভিযোগ মেনে নেয়নি। কমিশন বলেছে, এ ধরনের অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। প্রশ্ন হলো নির্বাচন কমিশন কি সত্যিই এসব অভিযোগের সত্যতা খোঁজার চেষ্টা করেছে? যে ৮৩ জন ধানের শীষের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি তাঁরা সবাই দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা কাগজ পেয়েছিলেন। বাস্তবতা হলো আওয়ামী লীগ বা বিএনপিতে যেখানে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাওয়াই একটা বড় ঘটনা, সেখানে মনোনয়ন পাওয়ার পরও বিএনপির এতসংখ্যক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেয়া থেকে বিরত থাকবে; এটা বিশ্বাসযোগ্য? আর নৌকা প্রতীক পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের আগেই চেয়ারম্যান হয়ে গেছি মনোভাবের হেতু কি? কোনো কারণ ছাড়া কি এমনটি ঘটতে পারে? নির্বাচন কমিশন কি খোঁজখবর নিয়ে দেখেনে যে কী এমন কারণ ঘটল; বিএনপির মনোনয়ন পেয়েও প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিলেন না? আর নৌকা প্রতীক পেয়েই আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ভোটের আগেই এমন আচরণ কেন? স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. বদিউল আলম মজুমদারের মতে কোনো প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে অভিযোগ না করলেও কেন এতোগুলো ইউপিতে বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারলো না তা খতিয়ে দেয়া নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। ইউপি নির্বাচনে এতো বেশি সংখ্যক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার রহস্য উদঘাটন করা তাদের দায়িত্ব। অথচ অভিযোগ করেনি, লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে এসব বলে নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ের ইউনিয়ন পরিষদ জনগণের সবচেয়ে কাছের সরকার। এই নির্বাচন নিয়ে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সব সময়ই উৎসাহ-উদ্দীপনা-উত্তেজনায় মেতে থাকেন। ব্যাপক অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাই এই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য। শুধু রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতারা নন, এ নির্বাচনে সমাজসেবক, শিক্ষক, সাধারণ ব্যবসায়ী এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে থাকেন। এলাকার ভোটাররা নিজেই কাউকে কাউকে প্রার্থী করে চাঁদা তুলে ভোট করেন। এই রেওয়াজ দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে। দলীয় ভিত্তিতে হওয়ার পর ইউপি নির্বাচন সেই ধারা থমকে গেছে। জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে চেয়ারম্যান-মেম্বার হওয়ার যে সৌন্দর্য বিদ্যমান ছিল তা হারাতে বসেছে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সিদ্ধান্তে। তারপরও সরাসরি ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার রেওয়াজে হঠাৎ বাগড়া দিচ্ছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার খায়েশ। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর জাতীয় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার যে রোগে গণতন্ত্র এবং জনগণের ভোটের অধিকার আক্রান্ত হয়; তা এখন তৃণমূল পর্যায়ে পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এই স্রোতধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’ শব্দটি সংবিধানে রাখা যাবে? আর নির্বাচন এলেই ভোটের কারণে নাগরিকরা  যে একদিনের রাজা হয়ে যান তাদের সে মূল্যায়ন কি থাকবে? – See

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *