কুমিল্লা: শত্রুতার জের ধরে চার ঘাতক শিশু রিয়াদকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মৃতদেহ বস্তায় ঢুকিয়ে উপজেলা সদরের মনোহরগঞ্জ বাজারের পূর্বপাশে ‘রাজের গড়’ এলাকায় খালের পাশে ফেলে দেয়।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেলে কুমিল্লার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এ কথা বলেন আলমগীর হোসেন। রিমান্ডে নেওয়ার আগেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি।
আলমগীর পুলিশকে জানান, একই এলাকার ফারুক হোসেন, মিজান, আজমসহ তারা চারজন শিশু রিয়াদকে হত্যা করেছেন।
এর আগে বুধবার (২ মার্চ) সকালে উপজেলার দিশাবন্দ এলাকা থেকে একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে আলমগীর হোসেন (২২) ও আব্দুল মালেকের ছেলে ফারুক হোসেনকে (১৪) আটক করে পুলিশ।
বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো হলে আদালত আলমগীরের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপর আসামি ফারুক হোসেন কিশোর হওয়ায় তাকে গাজীপুর জেলার টঙ্গী শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপুল চন্দ্র ভট্ট জানান, শত্রুতার জের ধরে শিশু রিয়াদকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য অপরাধীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।
১ মার্চ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টার দিকে উপজেলা সদরের মনোহরগঞ্জ বাজারের পূর্বপাশে ‘রাজের গড়’ এলাকা থেকে হোটেল শ্রমিক খোকনের ছেলে শিশু রিয়াদের (৯) বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে স্থানীয় দিশাবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।