ঢাকা : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)’র পরিচালকসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে পরিচালক (ভূমি) সৈয়দ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা জাল সনদে চাকরিতে যোগদানের অভিযোগটিও অনুসন্ধান করবে সংস্থাটি।
রোববার দুদক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করে। সূত্র জানায়, রাজউকের পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী এমএ আউয়াল ও সহকারী প্রকৌশলী এমএ মজিদের কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আসে। অভিযোগটি যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এজন্য দুদকের সহাকারী পরিচালক দেবব্রত মণ্ডলকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে দুদক কমিশন।
সূত্র আরো জানায়, পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম চাকরিতে যোগদানের সময় যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সনদ জাল করে যোগদান করেছেন। পরে অবৈধভাবে যোগদানকৃত এ কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক বনে গেছেন। অপরদিকে নির্বাহী প্রকৌশলী এমএ আউয়াল এবং সহকারী প্রকৌশলী এমএ মাজিদও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, প্রথমে এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে তা অনুসন্ধানের জন্য রাজউকের দুর্নীতি ও অনিয়ম অনুসন্ধানে নিয়োজিত দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক টিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই প্রাতিষ্ঠানিক টিমের পরিবর্তে দুদকের সহকারী পরিচালক দেবব্রত মণ্ডলকে নতুন করে দায়িত্ব দেয় কমিশন। একই সঙ্গে দুদক বিধিমালা-২০০৭ অনুসরণপূর্বক অভিযোগটির অনুসন্ধান সম্পন্ন করে যথাসময়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের ঘটনায় যে অভিযোগ ছিলো রাজউক পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এমনকি ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগে দায়ের করা তিন মামলার তদন্তে ২০১৪ সালের ৮ মে তাকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যদিও পরে সচিবের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটির তদন্ত শেষে কোনো দুর্নীতি পাওয়া যায়নি মর্মে নথিভুক্ত (এফআরটি) করা হয়েছিল।