শিক্ষিকা জেমি হায়াত শুধু তার ১৩ বছর বয়সী এক ছাত্রকে যৌনতার ফাঁদে ফেলেছিলেন এমন নয়। একই সঙ্গে তিনি ওই ছাত্রের হাতে তুলে দিয়েছেলেন অস্ত্র। ওই ছাত্রকে তিনি অনেকবার নিজের শয্যাসঙ্গী করেছেন। এ ঘটনার পর জানুয়ারিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগে তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রোয়েটের গ্রাস লেকের। সেখানকার লেসলিস উডওয়ার্থ ইলেমেন্টারি স্কুলের তৃতীয় গ্রেডের শিক্ষিকা জেমি হায়াত (৩১)। মাত্র ১৩ বছর বয়সী এক ছাত্রের সঙ্গে তার এমন অনৈতিক সম্পর্কের খবরে জ্যাকসন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তারপর থেকেই বেরিয়ে আসছে সব রগরগে কাহিনী। বলা হচ্ছে, ২০১৪ সালের গ্রীষ্ম থেকে তিনি ওই ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তা চলতে থাকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারপর ধরা খেয়ে পুলিশের হাতে তিনি। ওই ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি তিনি তার হাতে যে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তাতে তিনি আরও ফেঁসে গেছেন। গত ৯ই ফেব্রুয়ারি বিচারক ডেরিল মাজুরকে প্রসিকিটিং সহকারী এটর্নি ক্যাথলিন হকিং বলেছেন, জেমি হায়াত ওই ছাত্রকে যে অস্ত্র দিয়েছেন তা দিয়ে সে রক্তপাতও ঘটিয়ে দিতে পারতো। ২০১৩ ও ২০১৪ সাল জুড়ে ওই ছাত্রের সঙ্গে জেমি গড়ে তুলেছেন অনৈতিক সম্পর্ক। স্কুল ছুটির পর তিনি ওই ছাত্রকে তার শিকারে পরিণত করতেন। এ কথা স্বীকার করেছেন জেমি হায়াত। তার শিকারে পরিণত হওয়া ছাত্রও পুলিশকে বলেছে, অনেকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে জেমি। তবে তাদের মধ্যে এ সম্পর্ক কতবার হয়েছে তা ঠিক করে বলতে পারে নি সে। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে মানসিক চিকিৎসার কথা বলা হয়েছে। তিনি দোষী প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হতে পারে। বর্তমানে তিনি জ্যাকসন কাউন্টি জেলে রয়েছেন।