ঢাকা: ভারতীয় উপমহাদেশের হেঁশেলঘরে সরিষা অন্যতম সহজলভ্য একটি উপকরণ। ঐতিহ্যবাহী রান্নায় সরিষা বরাবরই এনে দেয় ঝাঁঝ। সরিষা বিভিন্নভাবে খাবারে ব্যবহার করা হয়। তেল, গুঁড়া, বাটা বা গোটা দানা। গার্নিশের জন্য সরিষার গুঁড়া ব্যবহার করা হয়। কমবেশি সবাই সরিষার ঔষধি গুণ সম্পর্কে জানেন।
ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ সরিষা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ক্যানসার বেড়ে ওঠা স্থগিত করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি শরীরে বর্তমান ক্যান্সার সেলের কার্যসীমা স্থগিত করে ও নতুন সেল তৈরি হতে দেয় না। হাই সেলেনিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকায় প্রতিদিন সরিষা খেলে অ্যাজমার লক্ষণ দূর হয়, কাশি ও বুকে জমা কফ সেরে ওঠে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যেমন- ফলেট, নিয়াসিন, থিয়ামিন, রিবোফ্লাবিন ইত্যাদি রয়েছে বলে দ্রুত বিপাকক্রিয়া ঘটায় ও ওজন হ্রাস করে।
সরিষায় রয়েছে ক্যারোটিন, লিউটেইন ও জিজান্থিন। আরও রয়েছে ভিটামিন এ, সি ও কে। এসব উপাদান একসঙ্গে মিলে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিণত হয় যা বয়স ধরে রাখে।
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায় এটি রিউম্যাটয়েড আথ্রাইটিস ও পেশির ব্যথা দূর করে। ব্যথা হলে সরিষাবাটার প্রলেপ দিলে আরাম পাওয়া যায়। কারণ, সরিষা পেশির জড়তা ছেড়ে দেয়।
যুগ যুগ ধরে সুস্থ চুলের বন্ধু হিসেবে সরিষার তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, লোহা, ফ্যাটি এসিড, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা চুল গজাতে ও বেড়ে উঠতে সাহায্য করে।
এসব ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য, ত্বকের ইনফেকশন, কাটা-ছেঁড়া ও বাড়তি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের সহজ সমাধান সরিষা।