ঢাকা: দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম বার হিসেবে পরিচিত ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০১৬-১৭ মেয়াদে কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ২১ পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টায় বারের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. শাহআলম খান নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুয়ায়ী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রার্থী মো. সাইদুর রহমান মানিক এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন একই প্যানেলের মো. আয়ুবুর রহমান।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল সম্পাদকীয় ১২টি পদের মধ্যে ৯টিতে ও কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১৫টি পদের মধ্যে ১২টিতে বিজয়ী হয়। অপরদিকে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল সম্পাদকীয় পদে ট্রেজারারসহ ৩টি ও কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ৩টি পদে বিজয়ী হয়।
সম্পাদকীয় পদের সাদা প্যানেলের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন, সহ-সভাপতি পদে আবু বকর ফরহাদ, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুস সালাম খান, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. শাহাদাত হোসেন ভুইয়া, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে আলী আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে লাকী আক্তার ফ্লোরা, দপ্তর সম্পাদক পদে আব্দুল হাই মামুন এবং খেলাধুলা সম্পাদক পদে মো. বাহারুল আলম বাহার।
অপরদিকে সম্পদকীয় পদের নীল প্যানেলের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আফরোজা বেগম শেলী, ট্রেজারার পদে আবু বক্কর সিদ্দিকী ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মো. শফিকুল ইসলাম।
সদস্য পদে সাদা প্যানেলের নির্বাচিত প্রার্থীরা হলেন, অ্যাডভোকেট আমিনুল আহসান মাসুম, ইমারত হোসেন বাচ্চু, হাজেরা বেগম আজরা, মোহাম্মাদ আবু সাঈদ সিদ্দিক টিপু, নাসিম জাহান রুবি, নুরজাহান আক্তার পারভীন, মরিয়ম বেগম তুলি, সাহিদা পারভীন নদী, মো. বিল্লাল হোসেন লিজন, নুরুল ইসলাম তালুকদার, তাইবুর রহমান তুহিন ও মোহাম্মাদ নুর হোসেইন।
সদস্য পদে নীল প্যানেলে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন, অ্যাডভোকেট আজমেরী আহমেদ চৈতি, মো. আব্দুল মোমেন খান মামুন ও মোহাম্মাদ রোকনুজ্জামান সুজা।
এর আগে গত ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি দুই দিন ভোটগ্রহণ করা হয়। সকাল নয়টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে দুপুরে একঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে।
২৭টি পদের বিপরীতে ৬৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৫০ জন।
এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন অ্যাডভোকেট মো. শাহ্ আলম খান।