বার্সা-আর্সেনাল নয়, লড়াইটা সানচেজ-মেসিরও

Slider খেলা

 

 

2016_02_22_18_23_24_UjLGa9kg9soZR5nl03u06o44SMp0ko_original

 

 

 

 

ঢাকা: আর্সেনাল কিংবা বার্সেলোনা, দু’দলই ভাসতে পারে চার বছর আগের সুখস্মৃতি আর দুঃস্মৃতির জোয়ারে। একই সঙ্গে দুটি স্মৃতি আবার কীভাবে? ২০১০-১১ মৌসুমে এই চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল বার্সা-আর্সেনাল। প্রথম লেগ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এমিরেটস স্টেডিয়ামে। ঘরের মাঠে আর্সেনালের সঙ্গী হয় ২-১ গোলে জয়ের সুখস্মৃতি। বার্সা স্পেনের বিমান ধরে হারের দুঃস্মৃতি নিয়ে। ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে দ্বিতীয় লেগে প্রতিশোধের মিশনে নেমে আর্সেনালকে ৩-১ গোলের লজ্জায় ডুবায় বার্সা। দুই লেগ মিলে বার্সার সঙ্গী হয় ৪-৩ গোলে জেতা কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সুখস্মৃতি।

চার বছরের ব্যবধানে একই মাঠ, একই দল, একই লিগের খেলা। রোমাঞ্চ আর উত্তেজনা তাই ছড়িয়ে পড়ছে বার্সা-আর্সেনাল উভয় শিবিরেই। কিন্তু দুই দলের কোচদের যেন ঘুম হারাম! প্রতিপক্ষকে গোলকধাঁধায় ফেলতে মরিয়া তারা। কোন খেলোয়াড় দিয়ে কাকে কীভাবে বধ করা যাবে, এমন ফন্দিই এঁটে যাচ্ছেন বার্সার কোচ লুইস এনরিক ও আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। লড়াইটা যে খুব বেশি দূরের নয়। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ২ টায় এমিরেটস স্টেডিয়ামে বার্সেলোনাকে স্বাগত জানাবে আর্সেনাল। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটপর্বের (শেষ ষোলো) প্রথম লেগের খেলায় মুখোমুখি হবে দুই দল।

এদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগের খেলায় এমিরেটসে লড়াইটা শুধু বার্সা-আর্সেনাল দুই দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। লড়াইটা চলবে এক সময়কার দুই সতীর্থ অ্যালেক্সিস সানচেজ ও লিওনেল মেসির মধ্যেও। সানচেজ লড়বেন আর্সেনালের হয়ে, আর মেসির লড়াইটা বার্সার পক্ষের। লড়াইটা নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার। পেশাদার ফুটবল বলেই কথা। বছর দুয়েক আগেও বার্সার আক্রমণভাগে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। সময়ের পরিক্রমায় তাতে ঘটল রদবদল। এবার মেসি-সানচেজ মাঠে নামবেন শত্রুর ভূমিকায়! কেননা বার্সা ছাড়ার পর এবাবই প্রথম মেসিদের মুখোমুখি হচ্ছেন সানচেজ।

২০১৪ বার্সা ছেড়ে আর্সেনালে পাড়ি জমান সানচেজ। ইংলিশ ক্লাবটিতে তার সময়টা ভালোই কাটছে। গানারদের হয়ে চিলিয়ান এই স্ট্রাইকার খেলেছেন ৭৭ ম্যাচ। এতে নামের পাশে ৩৫টি গোল যোগ করেছেন। বার্সার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে জানালেন জীবনের নতুন চ্যালেঞ্জের কথা, ‘জীবনে চ্যালেঞ্জ থাকবেই। তাই আমিও নিজেকে সপে দিতে চেয়েছিলাম নতুন চ্যালেঞ্জে (বার্সা ছেড়ে দেয়া), আর নতুন অভিজ্ঞতা নিতে নতুন ঠিকানায় পাড়ি জমানোয়। বার্সার আক্রমণভাবে বেশ কিছু ভালো খেলোয়াড় রয়েছে, তাই ন্যু ক্যাম্প ছাড়াটা ভালো সিদ্ধান্তই ছিল আমার। এর জন্য কখনোই অনুতপ্ত নই। তবে বার্সা ছেড়ে আসাটা সহজ ছিল না। আমি সেখানে গিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছি। খুব খেলোয়াড়ই আছেন, যারা একই ক্লাবের হয়ে গোটা ক্যারিয়ার শেষ করতে পারেন। তাই পেশাদার ফুটবলে ক্লাব ছাড়ার বিষয়টা খুবই স্বাভাবিক।’

এক সময় বার্সায় এক সঙ্গে খেলতেন, তাই সানচেজকে চিনতে ভুল করেননি বার্সা অধিনায়ক আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। চিলিয়ান স্ট্রাইকারকে ইনিয়েস্তা আখ্যা দিলেন ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ বলেই, ‘সানচেজের ক্ষেত্রে ভয়ানক ব্যাপারটি হচ্ছে, সে সব সময়ই আনপ্রেডিক্টেবল। যখন সে ড্রিব্লিং করে, প্রতিপক্ষ শিবিরে আক্রমণ শানায়, তখন তাকে অত্যন্ত শক্তিশালীই মনে হয়। তার আরেকটি দক্ষতা, সে আপনাকে ধাঁধায় ফেলে দেবে। সুতরাং আমাদের কাজ হবে, মাঠে তাকে অস্বস্তিতে রাখা। চেষ্টা করতে হবে তার দুর্বলতা খুঁজে বের করা, যাতে করে তার শক্তি কমে আসে।’

অপরদিকে, দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মেসিকে নিয়ে আলোচনা চলছে আর্সেনাল শিবিরে। কিন্তু তাদের শুধু এক মেসিকে নিয়ে ভাবলে হচ্ছে না, ভাবতে হচ্ছে এমএসএনকে নিয়ে। বার্সার ত্রিফলা সমানভাবে জ্বলে উঠলে গানারদের কপালে বড় খারাপই আছে। এ কথা স্বীকার করলেন আর্সেনাল বস ওয়েঙ্গারও, ‘হ্যাঁ, বার্সা অনেকট শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে খেলা খুব কঠিন। তাদের এমন তিনজন (এমএসএন) খেলোয়াড় আছে, যাদের মধ্যে রয়েছে দারুণ বোঝাপড়া। তাদের রুখতে হবে আমাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *