ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইন চীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
——-আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃত করে আনার জন্য আওয়ামীলীগকে ধন্যবাদ। জাতি দলটির কাছে কৃতজ্ঞ নি:সন্দেহে। ৫২ এর একুশের চেতনা থেকে ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনা। ভাষা আন্দোলন মহান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার। উর্দুকে হটিয়ে বাঙালী প্রমান করেছে তারা পরাজিত থাকতে চায় না বিজয়ী হতে জানে। ৫২ সালের একুশ ও ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ মিলেই একটি বাংলাদেশ। লাল সবুজের পতাকায় শোভিত আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি। একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা গর্বিত বাঙালী জাতি। আমাদের দেশ আমাদের অহংকার। বাংলা আমার মা। বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি।
আজ মহান একুশ। ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন আমরা তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। ভাষা সৈনিকেরা আমাদের বীর সন্তান। তাদের জানাই লাল সালাম।
মনে কষ্ট পাই এই জন্য যে, আমরা যারা দেশ চালাই তারা মুখে মুখে মাতৃভাষার প্রতি সম্মান জানাই। কিন্তু কর্মে তার প্রতিফলন ঘটাই না। ছেলে মেয়েদের ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে বিদেশে পাঠিয়ে দেই। আর আমরা বাংলাদেশে থেকে ভাষার জন্য চিৎকার চেচামেচি করি। এই অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে পারবেন না আমাদের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও। কারণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী,সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি সহ অনেকে দেশপরিচালকের প্রজন্ম বিদেশে ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন ও হচ্ছেন। অথচ তারাই মাতৃভাষা বাংলাকে সম্মান করার জন্য জাতিকে পরিচালিত করছেন। বাংলা ভাষায় শিক্ষিত করে তোলা ও সব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। কথার সাথে কর্মের মিল নেই তাদের। আমরা চাই তাদের প্রজন্মও দেশে থেকে মাতৃভাষায় শিক্ষিত হউক। যাই হউক বাংলা আমাদের মা, ভাষা আমাদের বাংলা। মাতৃভূমির নাম বাংলাদেশ। সকল প্রজন্মের এখানেই জন্ম ও মৃত্যু হউক এটাই আমাদের অহংকার। এমন যেন না হয় যে কখনো ভাষার জন্য ও মাতৃভূমির জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে না হয়।