গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সামনে বিএনপির কাউন্সিল। সব ক্ষমতা একজনের হাতে কেন্দ্রীভূত কইরেন না। ম্যাডাম আপনিই করে দেন- এই অভ্যাসটা ছাড়েন। তিনি বলেন, আমি এটা বিএনপির কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনারা একটু আপনাদের মেরুদ- দেখাতে শেখেন। ভোট দিয়ে আপনারা নেতা নির্বাচিত করুন। বিএনপিতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে প্রতিটি পর্যায়ে। বৃহস্পতিবার পেশাজীবীদের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বিএনপি সমর্থিত সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগ দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপির নেতৃত্ব পর্যায় থেকে কথা উঠেছে, একজনকে একটার পোস্টের বেশি দেবেন না। আমি যদি উপজেলার চেয়ারম্যান হই, আমার ভাইকে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বানাইয়েন না। এটা করা গেলে অনেক বেশি লোককে রাজনীতিতে নিয়ে আসা সম্ভব হবে। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে সহায়ক হবে। এটা হলে রাজনীতির ময়দানের অনেক মানুষ সাহসী হয়ে রাস্তায় নামবে। প্রধান বিচারপতির উদ্দেশ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মাহমুদুর রহমানের কেন তিনবছর লাগল আপনার দরজায় পৌঁছতে? এ ব্যাপারে আপনার (প্রধান বিচারপতি) দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তা না হলে শুধু সুন্দর কথায় এ দেশের মানুষকে বোকা বানানো যাবে না। ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, প্রজন্মলীগ এবং সরকারি কৌঁসুলিরা মামলা করেছেন। প্রথম সাতদিন এই দলীয়, ওই দলীয় সব সাংবাদিকরা চুপ করে বসে থাকলেন। যে নিউজের জন্য মাফ চাইলেন, সেই একই অপরাধ তো অন্যান্য সম্পাদকরাও করেছিলেন। এটা আসে কি করে? একমাত্র নিউ এইজের সম্পাদক নূরুল কবীর ছাড়া প্রত্যেকে তো ওই সংবাদ ছাপিয়েছে। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সদস্য সচিব অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ বক্তব্য দেন।