বিবাহিত মানুষকে সে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য বেশ কিছু ঝুঁকির মোকাবেলা করতে হয়। এ ঝুঁকিগুলোর কারণে প্রায়ই সম্পর্ক নষ্ট হয় এবং বিচ্ছেদের সূত্রপাত হয়। এ বিষয়ে মার্কিন থেরাপিস্ট পিটার পিয়ারসন দুটি ঝুঁকির কথা জানান। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট।
গবেষকরা বলছেন, বিয়ে করা এবং তা টিকিয়ে রাখা একজন মানুষের নিজের জন্য করা সবচেয়ে উপকারি কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি অত্যন্ত জটিল ও কঠিন কাজ। কিন্তু ঠিক কী কারণে এ জটিলতা, তা ব্যাখ্যা করেধেছন পিয়ারসন।
পিয়ারসন জানান, ‘সব বিয়েতেই আপনাকে বেশ কিছু স্বতন্ত্র জটিলতার মুখোমুখি হতে হবে। এতে বাড়িতে একজনের ভূমিকা ও দায়িত্ব কী হবে, তা থেকে শুরু করে যৌন দৃষ্টিভঙ্গি পর্যন্ত নির্ভর করে।’
পিয়ারসন বলেন, ‘আপনাদের ভবিষ্যৎ বহু উপায়েই একসঙ্গে বাঁধা।’
আর এ পথ একত্রে চলতে গিয়ে দম্পতিরা প্রায়ই অস্বাস্থ্যকর আচরণের শিকার হন। এতে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। পিয়ারসন বলেন, ‘এ কারণে অনেকেই আমার কাছে আসে।’
প্রায় ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রেই দম্পতিরা দুটি বিষয় নিয়ে সমস্যার মুখোমুখি হন বলে মনে করেন পিয়ারসন। এ সমস্যাগুলো মেটানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো- সংঘর্ষ দূর করা ও প্রতিকূলতার মাঝে কাজ করা।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সংঘাতের ভয়। দম্পতিদের মাঝে যদি সংঘাতের ভয় থাকে তাহলে তা দূর করার আগ্রহ তৈরি হয়। আর এতে বৈবাহিত সম্পর্ক ভালোভাবে কাজ করে।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রত্যেক মানুষেরই একটি ধারণা থাকে যে, সে সঠিক। অন্যকে দোষী হিসেবে তুলে ধরার কিংবা দায়ী করার নানা উপায় রয়েছে। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে নিজেকে সংযত রেখে কিছুটা স্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।
প্রত্যেক দম্পতিই যে কোনো সম্পর্কের শুরুতে একে অপরের সঙ্গে দারুণভাবে সময়কে অতিবাহিত করার ইচ্ছে থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে নানা মানসিক টানাপড়েন কিংবা দ্বন্দ্বের কারণে তা আর হয়ে ওঠে না। এক্ষেত্রে ওপরের দুটি বিষয় যদি ঠিকঠাক মেনে চলা যায় তাহলে বহু সমস্যা এড়ানো যায়।