ঢাকা: বটতলার আলোচিত নাটক ‘খনা’ ঢাকা ও ঢাকার বাহিরে বহুবার মঞ্চায়িত হয়ে আসছে। ইতিমধ্যে কাহিনী ও নাট্য আঙ্গিকের জন্য নাটকটি বেশ দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এ বছর ৮ ফেব্রুয়ারী ভারতের কুচবিহারে ‘কম্পাস নাট্যোৎসব ২০১৬’ তে মঞ্চস্থ ও প্রশংসিত এ নাটকটির ৫৫ তম মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হবে আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে।
নাটকের কাহিনীতে দেখা যায়, এক বিদূষী নারী খনা যার অন্য নাম লীলাবতী। তিনি একজন জ্যোতিষী। স্বামী মিহিরও একই বৃত্তিধারী। শ্বশুর যশস্বী জ্যোতিষী বরাহ মিহির। পুত্র জায়ার যশ, খ্যাতি ও বিদ্যার প্রভাব দর্শনে বরাহের হীনমন্যতা ও ঈর্ষা। তার এই হীনমন্যতা ও ঈর্ষার কারণে বলি হতে হয়েছে খনা তথা লীলাবতীকে। নাটকের কাহিনী এগিয়েছে চন্দ্রকেতু গড়কে কেন্দ্র করে। সেখানে আজো খনা মিহিরের ঢিবি। প্রায় পনেরোশো বছরের পুরনো এ গল্পে বরাহ মিহির বালহন্ডার দেউল নগর বা দেউল নগরের রাজা ধর্মকেতুর রাজ জ্যোতিষী। যিনি পুত্র মিহিরের জন্মকোষ্ঠী বর্ণনা করে তাকে ভাসিয়েছিলেন বিদ্যাধরীর জলে। লঙ্কাদ্বীপ থেকে সেই মিহিরকে নিয়ে খনা হাজির হন তার পিতা বরাহের সামনে। ভুল প্রমানিত হয় বরাহের গণনা। ধর্মকেতুর জনসভায় পরিচিত হন মিহির ও লীলাবতী। রাজ সভাসদ পদও লাভ করেন। বরাহ মেনে নিতে পারেন না পুত্রবধুর এই উথ্থান। অন্যদিকে খনা নতুন দেশের নতুন মানুষদের সাথে মিশে যান বাঁধনহারা। প্রাকৃতজনদের কৃষি সংক্রান্ত জ্ঞানভান্ডের বিকাশে গেঁথে চলেন বচনের পর বচন। পূর্ব শর্ত অনুযায়ী বরাহ আদেশ করেন মিহিরকে খনার জিহ্বা কর্তন করে তাকে উৎসর্গ করতে। মিহির বাধ্য হয়। করেও তাই। কিন্তু খনা মৃত্যুকে তুচ্ছ ভেবে বুক টান টান করে দাঁড়িয়েছেন সত্যের সাথে।
খনা নাটকটি রচনা করেছেন সামিনা লুৎফা নিত্রা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মোহাম্মদ আলী হায়দার।
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, সামিনা লুৎফা নিত্রা, ইমরান খান মুন্না, তৌফিক হাসান, শেউতি শাহগুফতা, মিজানুর রহমান, আবদুল কাদের, বাকিউল ইসলাম, কাজী রোকসানা প্রমুখ।