গ্রাম বাংলা ডেস্ক: সরকার ঘোষিত সম্প্রচার নীতিমালা কানাডা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন। তিনি বলেছেন, কানাডা মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজার রাখা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার সকালে জাতীয় প্রেস কাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেটস অ্যাসোসিয়েশনের (ডিসিএবি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের সম্প্রচার নীতিমালা বাংলায় হওয়ায় তা ভালো করে বোঝার সুযোগ হয়নি উল্লেখ করে কানাডার হাইকমিশনার বলেন, পত্রপত্রিকায় যা এসেছে তা দেখে মনে হয়েছে এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোনোভাবেই যাতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ুন্ন না হয় সেদিকে সবার দৃষ্টি রাখতে হবে।
হিদার ক্রুডেন জানান, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন কানাডা মেনে নিলেও ভোটারবিহীন নির্বাচন মেনে নিতে পারেনি তার দেশ।
বিরোধী দলের আন্দোলনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোনো আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত। আন্দোলনের নামে সহিংসতা কারো কাম্য নয়। যেকোনো সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমেই করা সম্ভব।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের কথা বলার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কানাডা বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের বন্ধু। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীও। এদেশের মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্রের স্বার্থে কানাডা তার অবস্থান ব্যক্ত করে। তা কখনই সীমালঙ্ঘনের পর্যায়ে যায় না।
দেশের গুম, খুনের বিষয়ে হিদার ক্রডেন বলেন, বিচার বিভাগ, সংসদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলে এ ধরনের অপরাধগুলো বন্ধ করা সম্ভব।