পাকিস্তান বাংলাদেশের চিরশত্রু। পরাজিত এ দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই। আর ৪০ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলে, মানুষকে পুড়িয়ে মারার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য খালেদা জিয়ারও বিচার করতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন। পাকিস্তানে বৃষ্টি হলে তিনি বাংলাদেশে বসে ছাতা ধরেন। মঙ্গলবার সংসদে প্রেসিডেন্টের ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন এমিপরা। আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের শেখ ফজলুল করিম সেলিম, এডভোকেট সাহারা খাতুন, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, মাহফুজুর রহমান, ফরিদুল হক খান, এম এ মালেক, এ এম নাইমুর রহমান দুর্জয়, জাতীয় পার্টির জিয়াউল হক মৃধা প্রমূখ। শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বেগম খালেদা জিয়া থাকেন বাংলাদেশে, কিন্তু মনেপ্রাণে পুরো পাকিস্তানী। পাকিস্তানে বৃষ্টি হলে তিনি বাংলাদেশে বসে ছাতা ধরেন। খালেদা জিয়ার পাকিস্তান প্রীতির পরিচয় পাওয়া যায় পাকিস্তানী ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর একজন জেনারেল জানজুয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট হিসাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন। মানুষ পুড়িয়ে মারেন। ৪০ বছর পর যদি যুদ্ধাপরাধের বিচার হতে পারে, তাহলে এক সময় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের কারণে খালেদা জিয়ারও বিচার হতে হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানের এক কূটনীতিককে জঙ্গী সম্পৃক্ততার কারণে বাংলাদেশ বহিষ্কার করেছে। অথচ কোন অপরাধ না থাকার পরও বাংলাদেশের কূটনৈতিক মৌসুমী রহমানকে বহিস্কার করেছে পাকিস্তান। ঢাকায় তাদের দূতাবাসের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, পাকিস্তান বাংলাদেশের চিরশত্রু। তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে হেরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে যেন বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে না পারে। এ অবস্থায় দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই। খালেদা জিয়ার সঙ্গে কোন ধরণের আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখান করে শেখ সেলিম বলেন, এদের সঙ্গে কোন ধরনের আলোচনায় যাবে না আওয়ামী লীগ। আজ তিনি (খালেদা জিয়া) কোন মুখে আলোচনার কথা বলেন? তার লজ্জা করে না? নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা তাঁকে কয়েকবার ফোন করেছিলেন। তিনি ফোন ধরেননি। একবার ফোন ধরলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, শেখ হাসিনা দুর্বল, তাই আলোচনা করতে চাইছে। তাই শেখ হাসিনার আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য এমন কোন ষড়যন্ত্র নেই যে তিনি করেননি। অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিলেন।