বসন্তেও ধরে রাখুন চুলের সৌন্দর্য

Slider লাইফস্টাইল

2016_02_15_12_11_26_Clj1KzRgTT4IIke9s79kZkLrUDRVZX_512xauto

 

 

 

 

ঢাকা: বসন্তের আগমন ঘটে প্রকৃতির শুষ্কতা দিয়ে। এ সময় বাতাসে অপেক্ষাকৃত ধুলাবালিও বেশি থাকে। প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করে বের হলেও বাসায় ফিরতে হয় মাথাভর্তি ধুলা নিয়ে। এতে চুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় দ্রুত। অনবরত চুল পড়তে থাকে। চুলের আগা ফাটা, খুশকি এবং চুলের ভঙ্গুরতা মানসিক কষ্টেরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু চুলের সমস্যা রোধে অবলম্বন করতে পারেন কিছু কার্যকরী উপায়। যেমন-

পেঁয়াজ ও রসুন

রসুন ও পেঁয়াজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে যা চুলের জন্য খুবই উপকারী। সালফার নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তাই সমপরিমাণ পেঁয়াজের রস ও ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। উপকার পেতে এটি সপ্তাহে ২ বার করলেই যথেষ্ট।

রসুনের ৫ থেকে ৬ টি কোয়া নিয়ে বেটে নিন। এবার দুই টেবিল চামচ নারিকেল তেলে কিছুক্ষণ চুলায় ফুটিয়ে নিন। মিশ্রনটি ঠাণ্ডা হলে মাথার ত্বকে লাগান। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার করে নিয়মিত ব্যবহার করলেই উপযুক্ত ফল পাওয়া সম্ভব।

আলু

তিনটি মাঝারি আকারের আলু নিয়ে এর রস সংগ্রহ করুন। এবার আলুর রসে একটি ডিমের কুসুম, কিছু পরিমাণ পানি ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন ভালো করে। ভেজা চুলে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে একবার করে কয়েক মাসের জন্য টানা ব্যবহার করে দেখুন। দেখবেন চুল পড়া কমে গেছে।

মেহেদি পাতা

প্রাকৃতিকভাবে চুলের রঙ ও চুলকে কন্ডিশনিং করার পাশাপাশি মেহেদি পাতা ব্যবহার করে চুল পড়া কমানো সম্ভব। এজন্য ২৫০ মিলি সরিষার তেল নিন একটি টিনের কৌঁটায়। এবার তাতে ৬০ গ্রাম মেহেদি পাতা দিয়ে চুলার জ্বাল দিন যতক্ষণ না পাতাগুলো পুড়ে যায়। এবার মিশ্রণটি একটি পরিষ্কার কাপড়ে ছেকে নিয়ে শুধু তেলটি রাখুন। এই তেল নিয়মিত মাথার ত্বকে ও চুলে লাগাতে হবে।

গ্রিন টি

গ্রিন টি শুধু খাওয়ার জন্যই নয় চুলের জন্যও খুব উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। কুসুম গরম গ্রিন টি মাথার ত্বকে ১ ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য এটি ব্যবহার করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *