গ্রাম বাংলা ডেস্ক: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু দাবি করেছেন, সম্প্রচার নীতিমালা গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের জন্য নয়, বরং এটি হবে গণমাধ্যমের জন্য কল্যাণকর। তিরি আরও দাবি করেন, সম্প্রচার নীতিমালায় তথ্য মন্ত্রণালয়কে কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি; বরং মন্ত্রণালয় সম্প্রচার মাধ্যমের ওপর থেকে বিদ্যমান দায়িত্ব গুটিয়ে নিয়ে কমিশনের হাতে সেই দায়িত্ব অর্পণের জন্য স্বপ্রণোদিত হয়ে এই নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে আজ সোমবার সচিবালয়ের তথ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনার জবাব দেওয়া হয়।
ঘোষিত সম্প্রচার নীতিমালায় বলা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত কোনো বাহিনীর প্রতি কটাক্ষ, বিদ্রূপ বা পেশাগত ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী দৃশ্য বা বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই। এ ধারায় সত্য প্রকাশে বিরত থাকতে বলা হয়নি। কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন, তার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে বাধা নেই।
সম্প্রচার নীতিমালার বিভিন্ন বিষয় সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও সমালোচনা হচ্ছে। এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। সংবিধানের ৩৯ ধারা অনুযায়ী এবং দেশের প্রচলিত আইনের সঙ্গে সংগতি রেখেই এই নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এই সম্প্রচার নীতিমালা নির্দেশনামূলক। এটা কোনো আইন নয়। সম্প্রচার কমিশনই সম্প্রচার মাধ্যমসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিশ্চিত করবে।
সম্প্রচার কমিশন কবে গঠন হবে তার উল্লেখ না থাকায় অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব সম্প্রচার কমিশন গঠনের জন্য আমরা কাজ করে যাব।’
নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের মতামত যথাযথভাবে প্রতিফলন হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ইনু বলেন, কমিটির সদস্যদের যুক্তিযুক্ত প্রস্তাব সবই গ্রহণ করা হয়েছে।
কোনো কোনো পক্ষ থেকে এই নীতিমালা নতুন করে করার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, আগামীতে এ নীতিমালার ভিত্তিতে আইন হবে। তাই এই নীতিমালার কোনো ব্যাখ্যা থাকলে আইন প্রণয়নের সময়ে সেই ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য মন্ত্রী ওই সব অংশীজনকে আইন প্রণয়নের সময় আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।