গ্রাম বাংলা ডেস্ক: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তাদের বাদ দিয়ে গণতন্ত্র হয় না। আমি আশা করব সকলেই সংযত আচরণ ও কথাবর্তায় দায়িত্বশীল হবে। তিনি সম্প্রচার নীতিমালাকে আরো উদার ও গণতান্ত্রিক করতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ইনিস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে ও চলমান রাজনীতি বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীকে উদ্দেশ্য করে সুরঞ্জিত বলেন, মন্ত্রী হয়ে চট করে উত্তেজিত হয়ে কথা বললে চলবে না। সবাইকে সংযত হয়ে কথা বলতে হবে। কোনো বিষয় নিয়ে আগের দিন গরম কথা বলে পরের দিন ক্ষমা চাইলে চলবে না।
তিনি বলেন, সম্প্রচার নীতিমালা খুবই ভালো কাজ ছিল। অথচ এই সংঘাতপূর্ণ রাজনীতিতে এটা কতটুকু কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য হবে সেটা দেখার বিষয়। এমন একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে যাতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।
ফিটনেসবিহীন জলযান বাতিলের দাবি করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, সে দক্ষিণবঙ্গের মালিক হোক আর যে বঙ্গের মালিকেরই লঞ্চ হোক। পিনাক-৬ লঞ্চডুবির সুষ্ঠু বিচার করার জন্য নৌমন্ত্রীকে নিজ মন্ত্রণালয়ের প্রতি নজর দিতেও পরামর্শ দেন তিনি।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের নেতাদের কথা শুনে আন্দোলনের কথা না বোঝা গেলেও আমাদের পক্ষের নেতাদের বক্তব্য শুনে মনে হয় আন্দোলন হলেও হতে পারে। বিএনপির নেতারা তেমন কোনো কথা বলেন না।