ঢাকা : যত্রতত্র পোলট্রি নয়। যত্রতত্র পোলট্রি খামার করা ঠিক হচ্ছে না। এটাকে শিল্প হিসেবে চিন্তা করা উচিত। কারণ এ শিল্পের সম্ভাবনা অনেক বেশি।
বাংলাদেশে দারিদ্র বিমোচন ও প্রাণি সম্পদের উন্নয়ন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ গোলটেবিল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. কাজী আবদুস সাত্তার, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সভাপতি মসিউর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক একে এম ফজলুল হক ভূঁইয়া।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এ খাতের উন্নয়ন করতে হলে যত্রতত্র পোল্ট্রি খামার করা যাবে না। পোল্ট্রি ব্যবসায়িরা একত্রে আসুন প্রয়োজনে আপনাদের জন্য স্পেশাল জোন করে দেয়া হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পোল্ট্রি শিল্পের সম্ভাবনা অনেক বেশি। কিন্তু এ শিল্প কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছনোর পথে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তার প্রধান সমস্যা হলো এ খাতের সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারছে না। এ খাতে একেক সময় একেক গ্রুপ সৃষ্টি হয়। বড় এবং ছোট কোনো খামারী না বলে সবাই যখন এক হয়ে আসতে পারবে তখন এ খাত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে সরকার যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আমাদের কাছে পাইভেট পাবলিক পাটনারশিপ ভিত্তিতে প্রকল্পের প্রস্তাব দিন। আমরা তা অনুমোদন করে দেবো।’
তিনি বলেন, ‘পিপির আওতায় এ খাত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে পারবে। একই সঙ্গে দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবে পোল্ট্রি শিল্প।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০৩০ সালে দেশকে আমরা দারিদ্রমুক্ত করবো। আর তাই লাইভস্টক সেক্টরকে আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে। আসলে আমরা মূল্যায়ন করতে পারিনি। অথচ এ খাতের সঙ্গে ৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে। এ শিল্পের মাধ্যমে দারিদ্র নিরসন সম্ভব হবে। যা টেকসই উন্নয়ন অংশীদার হতে পারে।’
ড. কাজী আবদুস সাত্তার বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ খাতে জনবলের ব্যাপক সঙ্কট রয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অ্যানিমেল হেলথ খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।’
মসিউর রহমান খান বলেন, ‘পোল্ট্রি শিল্পে বর্তমানে ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। আগামী ২০২০ সালে এই শিল্প ৫০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য খাতের উন্নয়নে পিপি প্রকল্পের বিকল্প নেই।’