ঢাকা: নারায়ণগঞ্জে অপহরণের পর খুন হওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেছেন, নূর হোসেনের ভয়ে গণশুনানিতে কেউ সাক্ষ্য দিতে আসে না।
তিনি বলেন, গণশুনানির আয়োজনটি সিদ্ধিরগঞ্জে হলে ভালো হতো, তাহলে অনেকেই সাক্ষ্য দিতে আসতেন। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অনেকেই এখানে আসতে চাইছেন না।
বৃহস্পতিবার সকালে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই অভিযোগ করেন। পরে তিনি তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে ভেতরে যান।
সকালে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় দ্বিতীয় দফায় হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি সার্কিট হাউসে গণশুনানির কাজ শুরু করে।
এর আগে ১২ মে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রথম দফা গণশুনানি গ্রহণ করে। এতে ৭ জন অংশ নেন।
শুনানিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ শাহজাহান আলী মোল্লা।
এদিকে এর আগে ১০ মে নারায়ণগঞ্জে ৭ জনকে হত্যার ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে একসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন।
৩০ এপ্রিল বিকালে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জনের এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সবারই হাত-পা বাঁধা ছিল। পেটে ছিল আঘাতের চিহ্ন। প্রতিটি লাশ ইটভর্তি দুটি করে বস্তা বেঁধে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছিল।
এদিকে নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ৪ মে র্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, নজরুলসহ অন্যদের র্যাব তুলে নিয়ে হত্যা করেছে। এ জন্য আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ কয়েকজনের কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন র্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তা।