ভারতকে হারিয়ে উইন্ডিজের ইতিহাস

Slider খেলা

 

2016_02_14_14_18_26_da8d3530phs1XnchN7bNDKDP7KOGXk_original

 

 

 

 

ঢাকা: তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ইতিহাস গড়ল তারা। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ক্যারিবীয় যুবাদের বোলিং তোপে ৪৫.১ ওভারে ভারত মাত্র ১৪৫ রানে অলআউট হয়। জবাবে তিন বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশের ভেন্যুই যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের লাকি ভেন্যু হয়ে থাকল। কারণ ২০০৪ সালে আরো একবার ফাইনাল খেলে তারা। সেবারও যুব বিশ্বকাপের আসরটি বাংলাদেশেই হয়েছিল। পাকিস্তানের কাছে হেরে তখন শিরোপা বঞ্চিত হয়েছিল তারা। আর এবার সেই পাকিস্তানকে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর শেষ চারে স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারিয়ে ওঠে ফাইনালে। দুর্দান্ত শক্তিশালী ভারতকে ফাইনালে হারিয়ে স্বপ্নের শিরোপা জিতে ক্যারিবীয়রা।

যুব বিশ্বকাপের শিরোপার জন্য ১৪৬ রানের সহজ লক্ষ্য ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সামনে। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়েও শুরুতে দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতে হোঁচট খায় তারা। দুই ওপেনার আউট হয়ে ফিরে যান মাত্র মাত্র ২৮ রানের মধ্যে। দুই ওপেনারের মধ্যে টেভিন ইমলাচ ১৫ ও গিডরন পোপ ৩ রান করেন।

এরপর অধিনায়ক শিমরন হেটমেয়ার এবং কিসি কার্টি তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে দলীয় ৬৭ রানে অধিনায়ক হেটমায়ার আউট হওয়ার পর স্প্রিঙ্গার ও গুলি ফিরে যান ১০ রানের ব্যবধানে। এতে ৭৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় ক্যারিবীয়রা। তাই ১৪৬ রানই যেন পাহাড়ের মতো বড় হয়ে দাঁড়ায় তাদের সামনে। তবে কিসি কার্টি ও কিমো পল ষষ্ঠ উইকেটে ধীরস্থিরতা সঙ্গে সেই পাহাড় জয় করেন।

এর আগে শনিবার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪৫.১ ওভারে মাত্র ১৪৫ রানেই গুটিয়ে গেছে ভারত। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যস্ত ছিল ইশান কিশানের দল। দলীয় ৩ রানে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন পান্ত। তাকে অনুসরণ করে দলীয় ৮ রানে ফিরে যান অমলপ্রীতি সিং। শুরুতেই দুই উইকেট হারানোর পর চাপ সৃষ্টি হয় ভারতের ব্যাটিং লাইনে। সেই চাপ আর কাটিয়ে ওঠতে পারেনি দলটি। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট পতন হয়েছে শেষ পর্যন্ত।

ব্যতিক্রম ছিলেন শুধু সফরফরাজ খান। ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যেই একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন তিনি। করেছেন হাফ সেঞ্চুরিও। তবে ইনিংসের সমাপ্তি টেনে ফিরতে পারেননি। ৩৯তম ওভারের প্রথম বলে রাইন জনের ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৮৯ বল থেকে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৫১ রান।

আউট হওয়া ব্যাটসম্যানের মধ্যে ৭ জনই ফিরে গেছেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই। ঋষভ পান্ত, অধিনায়ক ইশান কিশান, অমলপ্রীত সিং, ওয়াশিংটন সুন্দর, আরমান জাফের, মায়াঙ্ক ডাগর ও আবেশ খানের কেউই দুই অঙ্ক ছূঁতে পারেননি। ব্যতিক্রম শুধু মহীপাল লামোর, সরফরাজ খান ও রাহুল বাথাম।

সরফরাজ হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। এছাড়া বাথাম ২১ ও লামোর ১৯ রান করে আউট হয়েছেন। ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রায়ান জন ও আলজারি জোসেফ। এছাড়া কিমো পল দুটি এবং সামার স্প্রিঙ্গার ও কেমার হোল্ডার নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

এর আগে যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিজ নিজ ম্যাচে জয় পেয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ভারত প্রথম সেমিফাইনালে হারায় শ্রীলঙ্কাকে। আর ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সেমিফাইনালে স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *