জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলার শুনানি ২৫ ফেব্রুয়ারি

Slider বাংলার আদালত

 

2015_12_15_21_52_29_wsAuOI2bCQraB5NirXHGLc5BCDRMhJ_original

 

 

 

 

ঢাকা : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়েরকৃত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ধার্য্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশি বাজারস্থ আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ দিন ধার্য্য করেন।

অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির হননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। খালেদার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তার পক্ষে দুটি আবেদন করা হয় বলে জানান তার আইনজীবী।

মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে জেরায় অংশ নেন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, জয়নুল আবেদিন মেজবাহ এবং রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল এবং অন্যরা।

উল্লেখ্য, উচ্চ আদালতে আসামিপক্ষের আপিল আবেদনের ফলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রয়েছে। তবে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন ১৩ জন সাক্ষী। তারা হলেন- স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের রিলেশনশিপ ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম, কাস্টমার সার্ভিসেস ম্যানেজার অলোক কান্তি চক্রবর্তী, সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম ড. মো. হাফিজুর রহমান, এজিএম মো. আমিরউদ্দিন ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার পরিতোষ চন্দ্র দে, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার নওশাদ মোহাম্মদ, মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদ, মামলার রেকর্ডিং অফিসার মাহফুজুল হক ভূঁইয়া এবং জব্দ তালিকার পাঁচ সাক্ষী সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ইনসান উদ্দিন আহমেদ, ক্যাশ অফিসার শাহজাহান খান, পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার এইচ এম ইসমাইল, জনতা ব্যাংকের সাত মসজিদ শাখার জিএম শেখ মকবুল ও ফাহমিদা রহমান। তাদের আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয়েছে।

এর আগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

অন্যদিকে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

আর এ দুই মামলার বাদী হলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ খান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *