ঢাকা : ১৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হওয়ার কথা থাকলেও তা বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে করার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। সেক্ষেত্রে সম্মেলনের তারিখও পরিবর্তিত হতে পারে। তবে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের আগেই এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে চায় তারা।
এছাড়া কাউন্সিলের আগে চেয়ারপাসন নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে মূল কমিটির বাইরে গঠন করা হয়েছে আরো ১১টি উপ-কমিটি।
বুধবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে। দলের জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে রাত সোয়া ৯টার দিকে বৈঠকটি শুরু হয়ে চলে রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের আলোচনার বিষয়বস্তু ও সিদ্ধান্ত জানাবেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ১৯ মার্চ কাউন্সিল করার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠায় দলটি। এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওই কাউন্সিল অনুষ্ঠান করতে গণপূর্ত বিভাগ অনুমতি দিলেও পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো অনুমতি পায়নি বিএনপি।
বৈঠক সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কাউন্সিল অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে এখনো এগুচ্ছে বিএনপি। তবে সেখানে অনুমতি না পেলে প্রয়োজনে কাউন্সিল পেছানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে কাউন্সিল করার কথা ভাবছে দলটি। সম্মেলনস্থল পরিবর্তন হলে সেক্ষেত্রে সম্মেলনের নির্ধারিত তারিখও পরিবর্তিত হতে পারে। তবে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের আগেই দলটি এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে চায়।
বৈঠক শেষে বিএনপির এক নেতা জানান, কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে টিএইচ খানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি রাজি না হলে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারকে নির্বাচন কমিশনার করা হবে।
খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্রি.জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান।
