ঢাকা: যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ৫৬টি মামলা দায়েরের আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল আগামী সাতদিনের (এক সপ্তাহ) মধ্যে তার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ওই ব্যাংকের বোর্ড সভায় যেসব ঋণ অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় তার নথি এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যে তদন্ত করেছে সেই তদন্ত প্রতিবেদন আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বেসিক ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
রিটকারীর পক্ষে ছিলেন জেড আইন খান পান্না। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান বক্তব্য দেন।
বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন ৫৬টি মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে বাদ দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়। ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে থাকার পরও বাচ্চুকে আসামি না করা নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত বছরের নভেম্বরে জনস্বার্থে রিট দায়ের করেন হারুনুর রশীদ নামের এক ব্যক্তি। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিল।
রুলে বাচ্চুকে কেন আসামি করা হয়নি তা জানাতে দুদককে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়। আজ ওই রুলের শুনানিকালে হাইকোর্ট দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের বক্তব্য গ্রহণ করে। শুনানি শেষে দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন, বেসিক ব্যাংকের ৩১০ থেকে ৩২১ বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত ও বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।