সিলেট: সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার আশিঘর গ্রামে ৭ বছরের ননদ তাহমিনা বেগমকে খুন করেছে তারই আপন ভাবি রুবিনা বেগম (২২)। তাহমিনা ওই গ্রামের মতই মিয়ার ছেলে। খুনের ঘটনায় পুলিশ রুবিনাকে আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার আশিঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণিতে পড়তো তাহমিনা। সোমবার স্কুল ছুটির পর সে বাড়ি না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। না পেয়ে সন্ধায় মাইকিং করা হয়।
মাইকিংয়ে তাহমিনার নিখোঁজের বিষয়টি জানতে পেরে তার এক বান্ধবী জানায় সে (তাহমিনা) পানি পান করতে তার ভাবি রুবিনার বাড়িতে গিয়েছিল। পরে এ ব্যাপারে রুবিনাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এলোমেলো কথা বলতে থাকেন। তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে (সোমবার দিবাগত রাত) ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মীর নাসিরের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুবিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে তার বাড়ির টয়লেটের স্ল্যাপ ভাঙা দেখতে পায় পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে টয়লেটের ভেতর তল্লাশি চালিয়ে তাহমিনার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় রুবিনাকে আটক করা হয়।
তাহমিনার বড় ভাই রুহেল মিয়া স্ত্রী রুবিনা বেগমকে নিয়ে অন্য বাড়িতে বসবাস করেন।
এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর বলেন, ‘তদন্তের পর বলা যাবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।’ নিহত তাহমিনার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।