ডেইলি স্টার বন্ধ ও সম্পাদক-প্রকাশকের শাস্তি দাবি সংসদে

Slider জাতীয় বিনোদন ও মিডিয়া

file

 

ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ ও এর সম্পাদক এবং প্রকাশকের শাস্তির দাবি করেছেন সংসদ সদস্যরা। রোববার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় তারা এ দাবি তুলেন। এমপিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিকতার নীতি না মেনে এবং তথ্য যাচাই না করে গোয়েন্দা সংস্থার সরবরাহ করা তথ্য প্রকাশ করেছে ডেইলি স্টার।  এর মাধ্যমে সম্পাদক মাহফুজ আনাম রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ করেছেন। পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সরকারি দলের ৫ জন, স্বতন্ত্র ২ এমপি ও জাসদের এক এমপি এ প্রসঙ্গে কথা বলেন। এসময় সংসদের অন্যান্য এমপিরা টেবিল চাপড়ে তাদের সমর্থন জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসময় উপস্থিত ছিলেন না। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এমপিরা উপস্থিত থাকলেও তারা এ নিয়ে কোন বক্তব্য রাখেননি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল মাগরিবের নামাজের পর অনির্ধারিত এ বিতর্কের সূত্রপাত করেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। বিতর্কে অংশ নেন সরকারি দলের আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, শামসুল হক টুকু, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, নূরজাহান বেগম, জাসদের মইনউদ্দীন খান বাদল, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম ও তাহজীব আলম সিদ্দিকী। আরও বেশ ক’জন সংসদ সদস্য এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে চাইলে স্পিকার আর কাউকে ফ্লোর না দিয়ে দিনের পরবর্তী কার্যসূচিতে প্রবেশ করলে অনির্ধারিত এ বিতর্কের অবসান হয়। ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস অবিলম্বে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের পদত্যাগ এবং রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে গেপ্তার করে তার বিচারের দাবি জানান। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় মিথ্যা অপবাদ দিতে সাজানো গল্প ছাপানো ও মিথ্যা প্রচারণা চালানোর জন্য অবিলম্বে মাহফুজ আনামের পদত্যাগ এবং অনতিবিলম্বে পত্রিকাটি বন্ধের দাবি করছি। তিনি বলেন, মাহফুজ আনামের মতো লোকের অসাংবিধানিক সরকারকে এবং গণতন্ত্রকে নস্যাত করার জন্য সারাজীবনই ষড়যন্ত্র করে গেছেন, এখনও করছেন। এটা আর কোনভাবে বরদাশত করা যায় না। সংবিধানের আর্টিকেল-৭(১) বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওনার (মাহফুজ আনাম) যে কার্যক্রম তা এর আওতায় রাষ্ট্রদোহিতায় পড়ে। সুতরাং তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতা মামলা এনে বিচার করার দাবি করছি। ফজলে নূর তাপস বলেন, মাহফুজ আনাম সাংবাদিকতা নামক মহান পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন। তাই তার আর কোন পত্রিকার সম্পাদক থাকার অধিকার নেই এবং পেশাকে কলঙ্কিত করার জন্য উনি যাতে আর সাংবাদিকতা করতে না পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ট্রান্সকমের মালিক লতিফুর রহমান একজন করাপ্ট এবং তিনি সন্ত্রাসী বাহিনী উলফার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সুতরাং এদের বিরুদ্ধেও আশু ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *