বিচার বিভাগ স্বাধীন না থাকলে দেশের কেউ নিরাপদ থাকতে পারবে না। ইমপিচমেন্টের বিধান থাকতে আপনি সংসদ বা টকশো কোথাও বিচারপতিদের সমালোচনা করতে পারেন না। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় বিশিষ্টজনরা এসব মন্তব্য করেন। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এ আলোচনার আয়োজন করে। আলোচনায় অংশ নিয়ে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি আবদুল মতিন বলেন, বিচারপতিদের ডাকা মানে তাদের স্বাধীনতা কার্টেল করা। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোন অভিযোগ যদি পান তাহলে তাদের ইমপিচমেন্ট করেন। আর আর চায়ের দাওয়াত না, আর ডিনার পার্টি না। তিনি বলেন, সার্বজনীন মানবাধিকায় ঘোষণায় প্রত্যেক নাগরিকের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু সে বিচার হতে হবে স্বাধীনভাবে। তিনি বলেন, বিচারপতিদের নিয়ে সংসদে আলোচনা করা যাবে না এবং ব্যক্তিগত ডিনারে আহ্বান করা যাবে নাÑ ভারতে এ ধরনের আইন থাকলেও আমাদের এখানে এ ধরনের আইন নেই। আমি মনে করি, এ ধরনের সংস্কৃতি বন্ধ করা দরকার। না হয় বিচারপতিরা স্বাধীনভাবে রায় দিলেও জনগণের মধ্যে বিচার বিভাগের প্রতি এক ধরনের অনাস্থা তৈরি হবে।