প্রাইমারি স্কুলে ‘বঞ্চিতদের’ নিয়োগের আদেশ

Slider জাতীয় বাংলার আদালত

 

2016_01_25_13_38_14_uDJ8V2pQQSnXvWiovUrY1J3MAKSNF0_original

 

 

 

 

ঢাকা : ২০১১ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণদের নিয়োগ না দিয়ে নতুন করে এই পদে সার্কুলার (বিজ্ঞপ্তি) ঘোষণা করাকে অবৈধ হিসেবে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে ওই বছর এ পদে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণদেরকে নিয়োগ দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি তারিক-উল হাকিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এ রায় দেন।

এ বিষয়ে করা ৭২টি রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করা হয়। বুধবার আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ মুরশেদ, সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও মো.খায়রুল আলম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম।

পরে আদালত থেকে বেরিয়ে আইনজীবী মুরশেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১১ সালের আগস্ট মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। এ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে ১১ লাখ
প্রার্থী আবেদন করেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০১২ সালের ১২ আগস্ট ২৭ হাজার ৭শ ২০ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে ১২ হাজার ৭০১ জনকে নিয়োগ দেয় সরকার।’

‘বাকিদের পুল শিক্ষক ৭ দিন থেকে ৬ মাসের জন্য কোটার মাধ্যমে নিয়োগ দেন। (পুল শিক্ষকরা প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা সম্মানি পান, তাদের কোনো ছুটি নেই এবং তাদের নিয়োগ সাময়িক)।’

‘এর মধ্যে ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন করে সহকারী শিক্ষক পদে আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করে পুল শিক্ষকরা। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে একই সালের ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে রুল জারি করেন। বুধবার এ রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন আদালত।’

আইনজীবী মুরশেদ আরো জানান, ‘প্রায় ৭২টি রিট ছিল। এর মধ্যে আবেদনকারী দুই থেকে আড়াইহাজার হতে পারে। হাইকোর্ট এসব আবেদনকারী পুল শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর এদের নিয়োগের আগে নতুন করে কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা নিয়োগ না দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *