আমরা যারা সকাল-সন্ধ্যা অফিস করি আর সারাক্ষণ কাজের চাপে খাওয়ার কথাও ভুলে যাই, তাদের যদি বলা হয় কাজের ফাঁকে আধা ঘণ্টা হেঁটে আসুন, তবে তা সফল করার সম্বাবনা দিবাস্বপ্নের মতোই হবে।
কিন্তু একটানা চেয়ারে বসে থেকে কম্পিউটারে কাজ করলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন পিঠে, ঘারে ব্যাথা, অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া, দৃষ্টি শক্তির ক্ষতি ছাড়াও হাতের কব্জি অবস হয়ে আসতে পারে।
দীর্ঘ সময় কাজ করার পরে শরীরে ক্লান্তিভাব দেখা দেয়। যা আমাদের কাজের মনযোগ নষ্ট করে। আর সারাদিন অফিসের পর বাড়ি ফিরে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার সময়ও পাওয়া যায় না। ফলে শরীরে নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধার সুযোগ তৈরি হয়।
অফিসের কাজের চাপে যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ি তখন জেনে রাখা প্রয়োজন জটজলদি কিছু পদ্ধতি যা আমাদের খুব সহজেই অবসন্ন ভাব কাটিয়ে চাঙ্গা করে তুলবে।
তেমনই কিছু টিপস্:
দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ না করে কিছুক্ষণ পরপর হেঁটে পাশের সহকর্মীদের খোঁজ খবর নিন।
ছোট ছোট কাজে সাহায্যকারী না ডেকে নিজেই উঠে যান। যেমন কোনো কিছু প্রিন্ট বা ফটোকপি করতে হলে ডেস্ক থেকে গিয়ে নিজেই নিয়ে আসুন।
কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝে ব্রেক নিন। চা খান, সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করুন। নতুন করে কাজের উৎসাহ পাবেন।
অফিসের চেয়ারে সব সময় শিরদাঁড়া সোজা রেখে বসুন।
কম্পিউটার স্ক্রিনে একটানা ১০-১৫ মিনিটের বেশি তাকিয়ে থাকবেন না। কম্পিউটারে কাজ করার সময় নিয়মিত চোখের পাতা ফেলুন।
কম্পিউটার শরীর থেকে এক হাত দূরে, আই লেভেলের একটু নিচে সেট করুন।
সুস্থ থাকতে অফিসেই আমরা ছোট কিছু ব্যায়াম করতে পারি:
হাত দুটো সামনের দিকে সোজা বাড়িয়ে দিন, এক হাত দিয়ে অন্য হাতের আঙ্গুলগুলো ধরুন। এবার হাত দুটো আস্তে আস্তে ওপর নীচ করুন।
অফিসের চেয়ারে মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন। এবার ঘাড় আস্তে আস্তে ডানে বামে ঘোরান। এভাবে ৫ থেকে ১০ বার করুন।
পায়ের আঙুলের ওপর ভর করে সোজা হয়ে দাঁড়ান। আস্তে আস্তে এই অবস্থায় পিঠ সোজা রেখে বসার ভঙ্গি করুন। এভাবে ৫ বার করুন।
চেয়ারটা ডেস্ক থেকে খানিকটা দূরে সরিয়ে নিন। হাত দুটো সোজা করে ডেস্ক স্পর্শ করুন। ১০ বার।
নিয়মিত এই অল্প সময়ের অর্য়াক আউট আমাদের একঘেয়েমি দূর করে কাজে আরও মনযোগী করে তোলে এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।