ঢাকা : আঙুলের ছাপ বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করতে পারবেন প্রবাসীরাও। পিতা/মাতা বা আত্মীয় স্বজন তাদের সিমটি রেজিস্ট্রেশন করে রাখবেন। তবে দেশে ফেরার পর তাদের নিজের নামে সিমটি নিবন্ধন করে নিতে হবে।
রোববার রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম/রিম নিবন্ধনে গ্রাহকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সাতটি প্রশ্ন ও উত্তর লিখে পোস্ট করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এ পোস্টেই তিনি এসব তথ্য জানান।
তিনি লিখেছেন, যাদের NID নেই তারা পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। কিন্তু এই সিমের মেয়াদ থাকবে ৬ মাস। এই ৬ মাসের মধ্যে NID দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।
১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য সিম নিবন্ধনের ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী লেখেন, পিতা/মাতা কিংবা অভিভাবক তাদের পক্ষে সিমটি কিনতে পারবেন বা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। পরে NID পেলে তাদের নামে সিমটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ ফ্রি। যে কোনো ধরনের সিম যেকোনো অপারেটর এবং রিটেইলার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করে দিতে বাধ্য থাকবেন।’ কেউ টাকা নিলে প্রতিমন্ত্রী তাকে অবহিত করতে বলেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
তারানা হালিম লিখেছেন, যাদের দুই হাত নেই বা আঙুলের ছাপ মিলছে না, তাদের সমস্যা সমাধানে বিশেষ পদ্ধতি চালু করা হবে। তারানা লেখেন, পুরনো সিম নিবন্ধনে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। পাশাপাশি নতুন সিমের নিবন্ধনও চলতে থাকবে। অস্থায়ী এনআইডি দিয়েও সিম/রিম নিবন্ধন করা যাবে। তবে ৬ মাসের মধ্যে সিমটি আসল এনআইডি দিয়ে নিবন্ধন করে নিতে হবে।
টেম্পোরারি NID দিয়ে সিম/রিম রেজিস্ট্রেশন করা যাবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তারানা লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, করতে পারবেন। তবে ৬ মাসের মধ্যে সিমটি আসল NID দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।’
তারানা হালিম পোস্টের শুরুতে লেখেন, ‘আপনারা অনেকেই আমার ফেসবুক পেজে অনেক প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছেন। ব্যস্ততার কারণে হয়ত আমি সকলের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি না। আপনাদের সকলের জ্ঞাতার্থে আমি বেশ কিছু প্রশ্ন বাছাই করছি এবং সে সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করলাম।’
সিম নিবন্ধনে ‘পাশে থাকার’ জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, ‘যেকোনো ধরনের অনুসন্ধান থাকলে আপনারা কমেন্ট করতে পারেন।’