যারা বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন সেসব নববধূদের বলছি, শুধু অধিকার ভোগ করবেন, সবাই আপনাকে ভালোবাসবে, বর পছন্দের জিনিসটি বিনা দ্বিধায় কিনে দেবেন, সময়ে অসময়ে উপহার দেবেন…সবই ঠিক আছে। কিন্তু এজন্য আপনাকে যা করতে হবে:
নতুন পরিবেশ আপন করে নিন
বিয়ে মানে শুধু দুজনের সম্পর্ক নয়। দুটি পরিবার, পারিবারিক ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির মিলন। সম্পুর্ণ নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে। এখানে প্রথমেই সবকিছু নিজের মতো করে পাবেন এটা আশা করা যাবে না। বরং কিছুটা সময় নিয়ে বরের পরিবারের পরিবেশই আপন করে নিন।
প্রিয়জনের চাওয়ার গুরুত্ব দিন
যে মানুষটির সঙ্গে সারা জীবন চলতে চাইছেন, তার পছন্দ-অপছন্দ বুঝে চলুন। ছোট ছোট চাওয়াকে গুরুত্ব দিন। যেমন সে যে ধরনের পোশাকে আপনাকে দেখতে পছন্দ করে মাঝে মাঝে তেমন পোশাক পরুন, বরের পছন্দের জায়গায় বেড়াতে যান।
একান্তে সময় কাটান
মাত্র বিয়ে হয়েছে, জীবনের এই সুন্দর সময়টা কিন্তু আর আসবে না। কাজের অজুহাতে বা সংসারের ঝামেলায় নিজেকে এখনই এমনভাবে জড়িয়ে ফেলবেন না, যাতে করে নিজেদের জন্য যথেষ্ট সময় না পাওয়া যায়। কাজ করার জন্য অনেক সময় পাবেন, এই সময়টা যতটা সম্ভব প্রিয়জনের সঙ্গে কাটান।
দুজনের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়া গড়ে তুলুন
সুন্দর সর্ম্পকের স্বার্থে দুজনের মধ্যে ইগো জায়গা দেবেন না। আর কোনো ধরনের দূরত্ব তৈরি হয় এমন কিছু করবেন না।
প্রিয় মানুষটিকে বোঝার চেষ্টা করুন। দুজনের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়া গড়ে তুলুন।
চাহিদা সীমিত রাখুন
বরের আর্থিক সঙ্গতির কথা বিবেচনা করুন। এমন কিছু চাওয়া যাবে না, যা দিতে বরের কষ্ট হয়। তার মানসিক অবস্থাও বুঝতে হবে। কারণ আপনার পছন্দের জিনিসটি কিনে দিতে না পারলে তার মন খারাপ হবে।
অন্যের সঙ্গে বরের তুলনা নয়
আপনার বাবা বা ভাইয়ের সঙ্গে বরের তুলনা করে কখনো তাকে হেয় করে কথা বলবেন না। পরিবারের ছোট বিষয়গুলোই একসময় অনেক বড় ক্ষতি ডেকে আনে।
উপহার দিন
বরকে মাঝে মাঝে সারপ্রাইজ গিফট দিন, সম্পর্ক আরও মধুর হবে। উপহার সব সময় দামী হতে হবে এমন কোনো কথা নেই, একটি ফুল অথবা চকলেটের আবেদনও কিন্তু কম নয়।
নির্দ্বিধায় সরি বলুন
আমরা কেউই সব সময় ১০০% পারফেক্ট না। ভুল হতেই পারে, যদি বোঝেন ভুলটি আপনার, একে আর বাড়তে দেবেন না। সঙ্গে সঙ্গে সরি বলুন। মুখে সরি বলতেই হবে এটা জরুরি নয়। এমন কিছু করুন যাতে করে বর বুঝতে পারে ভুলটি আপনার ইচ্ছাকৃত নয় এবং আপনি এই ঘটনার জন্য অনুতপ্ত।
মনে রাখবেন, দুজনের পারস্পারিক ভালোবাসা, সহযোগিতা আর শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমেই গড়ে তোলা যায় সুখের সংসার।