বিচারপতি খায়রুল হককে দেশের সকল হানাহানির কারণ হিসেবে দায়ি করে তার গ্রেপ্তার দাবি করেছেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, বিচারপতি খায়রুল বিএনপির প্রতি ‘বিরাগভাজন’ হয়ে অবসরের পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় লিখেছেন। তার অপকর্মকে ঢাকার জন্যই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রীর উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে রিজভী বলেন, আইনমন্ত্রী বলেছেন বিচারপতিরা অবসরে গেলেও রায় লিখতে পারবেন। আমি বলব, তিনি আইনের দৃষ্টিতে মিথ্যা বলছেন, অন্যায় কথা বলছেন। কারণ অবসরে গেলে একজন বিচারপতির শপথ থাকে না। খায়রুল হক হচ্ছেন সেই ব্যক্তি যিনি সরকারের প্রতি অনুরক্ত হয়ে বিএনপির প্রতি বিরাগভাজন হয়েছেন। তাই তাকে গ্রেপ্তার দাবি জানাচ্ছি। বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, উচ্চ আদালতের কলঙ্ক সাবেক বিচারপতি খায়রুল হক দেশের সকল রক্তপাত ও হানাহানির জন্য দায়ী। তার অপকর্মকে ঢাকার জন্যই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাপ কখনো চাপা থাকে না। জনতার আদালতে পাপীদের বিচার হবেই।
আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আদালতকে প্রাইভেট সেক্টরে পরিণত করার চেষ্টা করছেন। সকল মামলা আজ শাসক দলের ইচ্ছায় হয়। বিএনপির কর্মসূচিতে সরকার স্বস্তিতে থাকে না উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজকের এ মানববন্ধন বানচাল করার জন্য বিভিন্ন অপচেষ্টা করা হয়েছে। কারণ এ দেশে বিরোধী দলের কোনও অধিকার নাই। জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সংগঠনের সভাপতি নূরে আরা সাফার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট আহমদ আযম খান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ।