জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মাসেতুর অর্থায়ন বন্ধ করতে অনেক ষড়যন্ত্রই হয়েছে। এটি ঠিক যে কোনো ব্যক্তি বিশেষ, নিজস্ব ব্যক্তি স্বার্থের কারণে, পদ্মাসেতুর অর্থায়ন বন্ধের ষড়যন্ত্র করেছিল। আমাকে অনেক সময় অনেক থ্রেটও করা হয়েছিল। একটি এমডির পদ না থাকলে পদ্মাসেতুর টাকা বন্ধ করা হবে- এটি কিন্তু সরাসরি বলাও হয়েছে। তাই এদের বিচার আমি জনগণের ওপর ছেড়ে দিলাম।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্ন-উত্তর পর্বে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিনের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রশ্নকারী জানতে চান পদ্মাসেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কিনা?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কেউ যদি ব্যক্তি স্বার্থের জন্য দেশের সর্বনাশ করতে চায়, আর দেশের মানুষের স্বার্থ না দেখে; তাদের প্রতি করুণা করা ছাড়া আর কিছুই নেই। এটি ঠিক কোনো ব্যক্তি বিশেষ তার ব্যক্তি স্বার্থে কারণে এটি করেছেন। আমাকে অনেক সময় অনেক থ্রেটও করা হয়েছিল বিশেষ এক ব্যক্তি তার ব্যাপারে। একটি এমডির পদ না থাকলে পদ্মাসেতুর টাকা বন্ধ করা হবে- এটি কিন্তু সরাসরি বলাও হয়েছে। এ ধরনের বহু কথাই আমাকে শুনতে হয়েছে। সেগুলো আমি কিছু বলতে চাই না। মানুষের মধ্যে যদি দেশপ্রেম না থাকে, জনগণের প্রতি তাদের যদি কোনো দায়িত্ববোধ না থাকে সম্পূর্ণ ব্যক্তি স্বার্থেই অন্ধ থাকে কেউ, তবে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে তা জনগণই বিচার করবে। আমি বিচারের ভার জনগণের হাতে ছেড়ে দিলাম।
জাতীয় পার্টির ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতুতে টাকা বাড়তে পারে, আবার টাকা বেঁচেও যেতে পারে। ঠিক এই মুহুর্তে আমি বলতে পারছি না। পদ্মাসেতুর ব্যয় আরো বাড়বে কিনা। কেননা এটি আমাদের জন্য একদমই নতুন অভিজ্ঞতা। এর আগে কখনও এতো বড় প্রকল্প আমাদের করার অভিজ্ঞতা ছিল না। তাছাড়া পদ্মা অত্যন্ত খরস্রোতা নদী, সেখানে কাজ করতে গেলে অনেক অসুবিধাও হয়। যাই হোক- আমরা কাজ শুরু করেছি। ইনশাল্লাহ ২০১৮ সালের মধ্যে পদ্মাসেতু দিয়ে ওই পাড়ে যেতে পারবো। রেলও চলবে।