ঢাকা: রাশিয়ায় গত মাস থেকে এ পর্যন্ত সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকেরই মৃত্যু হয়েছে গত এক সপ্তাহে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে মস্কো।
দক্ষিণাঞ্চলীয় রস্তোভ এলাকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সোমবার বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তিকে জানায়, সেখানে সর্বশেষ আরো দু’জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় এ অঞ্চলে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা আটে দাঁড়িয়েছে।
সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃতের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ার শিল্পনগরী ভলগোগ্রাদে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই এলাকার অন্তত ৫০টি স্কুলে ফ্লু-আক্রান্তদের সঙ্গে অন্যদের মেলামেশা বন্ধে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেন্ট পিটার্সবার্গে পাঁচজন, দাগেস্তানে এক শিশুসহ পাঁচজন, রাজধানী মস্কোতে একজন এবং ইয়েকাতেরিনবাগে দু’জন ও আদিজিয়াতে একজন মারা গেছে। এ ছাড়া রাশিয়ার আরও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আরও মৃত্যুর খবর পাওয়াগেছে।
রাশিয়ার বাইরেও সম্প্রতি সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। চলতি বছর ভারতের রাজস্থানে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজস্থানে সোয়াইন ফ্লুতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৫৪ জনের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
২০১৫ সালে ভারতে ৩৩ হাজার মানুষ সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আক্রান্তদের মধ্যে এক হাজার ৯৯৪ জনের মৃত্যু হয়।
সোয়াইন ফ্লুর জন্য দায়ী এইচ১এন১ ভাইরাস। এটি হচ্ছে মানবদেহে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাসের মতো এক ধরনের ভাইরাস যা প্রধানত শূকরের দেহে বংশবিস্তার করতে পারে। ২০০৯ সালে প্রথম মেক্সিকোয় এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। দ্রুত এটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গের মধ্যে জ্বর, মাথা ব্যথা, গলা ও শরীর ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ক্ষুধামন্দা ও আলস্য, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি অন্যতম।