গ্রাম বাংলা ডেস্ক: নৌ-বাহিনীর একজন সদস্য দেখাচ্ছেন ‘সাইড স্ক্যান সোনার’ যন্ত্রটি। এটি পানির নিচের আশে-পাশে ২০০ মিটার পর্যন্ত ধাতব বস্তুর খোজঁ জানাতে পারে
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও মিলছে না পদ্মায় ডুবে যাওয়া পিনাক-৬ লঞ্চটির সন্ধান। এরইমধ্যে পেরিয়ে গেছে চার দিনেরও বেশি সময়।
কান্ডারি-২ এর পাশাপাশি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লঞ্চ অনুসন্ধানে যোগ দেয় চট্টগ্রাম থেকে আসা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জরিপ-১০ জাহাজ।
বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ট, নৌবাহিনী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ একযোগে উদ্ধার তৎপরতা চালালেও শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত লঞ্চটির কোনা সন্ধান পায়নি উদ্ধারকারী জাহাজ কাণ্ডারি-২, সন্ধানী, তিস্তা, নৌবাহিনীর এলসিটি-০১২। পদ্মা নদীর মাওয়া-কাওড়াকান্দি এলাকার ৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে খোঁজা হচ্ছে লঞ্চটি। খোঁজ পেলেই টেনে তোলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে রুস্তম ও নির্ভীক।
তথ্য মতে, জরিপ-১০ আকারে ছোট হলেও এর কার্যক্ষমতা বেশি। চলার পথে দুই পাশে প্রায় ৩শ’ মিটার পর্যন্ত স্ক্যান করতে পারে। পাশাপাশি পানির নিচে পলিমাটি ও কাদামাটিতে ৭০ মিটার এবং বালি মাটিতে ১৮ মিটার গভীর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ চালানোর ক্ষমতা রয়েছে এর।
জরিপ-১০ জাহাজে আধুনিক প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে মাল্টি ভিম সাইড স্ক্যানার, সাব বোটম প্রফাইল, সাইজ স্ক্যানার।
এদিকে শুক্রবার দিবাগত রাত পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৩৬ জনের লাশ। তাদের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় জানার পর স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল।
সর্বশেষ রাত ১টার দিকে বরিশালের হিজলা উপজেলার মেঘনা নদী থেকে ৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন পুরুষ, একজন নারী ও একজন কন্যা শিশু।
গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে কাওড়াকান্দি থেকে আড়াইশতাধিক যাত্রী নিয়ে মাওয়া ঘাটে যাওয়ার পথে ডুবে যায় লঞ্চ এমএল পিনাক-৬।