ঢাকা: লিনা লাতানজিয়ো। বয়স ৬৭ বছর। ছয় একর জায়গাজুড়ে বাড়িতে তিনি একাই থাকেন। না, কথাটি ঠিক হলো না। লিনার সঙ্গে এ বাড়িতে থাকে এক হাজার একশো বিড়াল।
পাঁচ বেডরুমের বিশাল বাড়িতে লিনা বিড়ালদের জন্য গড়েছেন উন্মুক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র। যেখানে খাঁচার বাইরে থেকে বিড়ালরা উন্মুক্ত স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজের এ বাড়িতে তিনি পরিত্যক্ত ও আশ্রয়হীন বিড়ালদের সেবাযত্ন নিচ্ছেন।
বিড়ালপ্রীতি লিনার বহুদিনের। ১৯৯২ সাল থেকে বিড়াল পোষেন তিনি। সেবছরই ৯৬টি বিড়ালের পুনর্বাসন করেন। বিড়ালপ্রেমী এমন এক নারীকে কী বলা যায়? ক্যাটলেডি!
লিনার ভাষ্য, আমি বিড়াল পছন্দ করি কারণ তারা স্বাধীন, সুন্দর ও কমনীয়।
বিড়ালপাগল নারীদের মধ্যে আমিই সর্ব শীর্ষে রয়েছি। গত ২৪ বছরে আমি ২৮ হাজার বিড়ালের সঙ্গে বসবাস করেছি। এটি একটি রেকর্ড বলা চলে, যোগ করেন ক্যাটলেডি লিনা।
চার হাজার দু’শো বর্গফুট বাড়িতে লিনা একাই ছিলেন। বিড়াল পালার ভাবনা তার মাথায় ছিলো ঠিক, কিন্তু তা এক হাজার বিড়াল ছাড়িয়ে যাবে আদতে এটিই তার লক্ষ্য ছিলো। লিনা জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এমনটি হয়ে গেছে।
লিনা বাইরের কোনো আর্থিক সাহায্য ছাড়াই বিড়াল পুনর্বাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন। শুরু থেকেই নিজ খরচে বিড়াল লালন-পালন করছেন। তিনি এর খরচ যোগাতে নিজের গাড়ি ও বিয়ের আংটিও বিক্রি করে দিয়েছেন।
বর্তমানে লিনা ও তার সেচ্ছাসেবী দল মিলে আটশো বড় বিড়াল ও তিনশোটি ছোট বিড়ালের দেখাশোনা করছেন।
এ দলটি বিড়ালদের খাওয়ানো থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। বিড়ালদের জন্য রয়েছে একটি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট ও পশুচিকিৎসক। প্রতি সপ্তাহে চিকিৎসক এসে দেখে যান বিড়ালদের।
লিনার ইচ্ছে, এসব বিড়াল ভবিষ্যতে নিজেদের নতুন আশ্রয় খুঁজে পাবে। তিনি আগ্রহীদের বিড়াল দত্তক দিতে একটি ওয়েবসাইট খুলেছেন। যেখানে ফরম পূরণ করে যে কেউ বিড়াল দত্তক নিতে পারবেন।
লিনার কাছ থেকে দত্তক নেওয়ার জন্য রয়েছে পাঁচশো বিড়াল। এরা খুবই বন্ধুভাবাপন্ন ও নতুন বাড়িতে যেতে একদম প্রস্তুত, জানান ক্যাটলেডি।