বাণিজ্যমেলায় ছোট্ট শিশুপার্ক ‘সারিকা ফ্যান্টাসি’

Slider অর্থ ও বাণিজ্য

2016_01_24_22_03_14_jupPATokUwpEslaCWtf4BQyPjDafEd_original

 

 

 

 

ঢাকা : জায়গাটা শিশুদের চিৎকার চেচামেচি, হই হুল্লোড়ে মুখর। একবার দোয়েল পাখিতে তো আরেকবার ঘোড়ায়। কেউ আবার ডোরিমনের পিঠে। এভাবেই পুরো পার্কে ছোটাছুটি করছে এক দল শিশুশিক্ষার্থী। পার্কে এসে নানা রাইড দেখে খুদে এসব শিক্ষার্থীর মাথাই ঘুরে গেছে। কোনটা রেখে কোনটায় চড়বে ঠাহর করে উঠতে পারছে না।

রোববার সকাল ১১টায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে বিনোদনকেন্দ্র সারিকা ফ্যান্টাসি অ্যামেইজিং ওয়ার্ল্ডের সামনে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেল। পুরো পার্ক দখল করে দুরন্তপনায় মেতেছে রাজধানীর সেন্ট প্যাট্রিকস ইন্টারন্যাশল স্কুলের ৫০ জন শিশুশিক্ষার্থী।

এদেরই সঙ্গী সেন্ট প্যাট্রিকস স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী অনন্য আবির। কথা বলছে গিয়ে শীতের তীব্রতা ভেদ করে তার কণ্ঠ থেকে বেরিয়ে এলো একরাশ উষ্ণ আওয়াজ ‘ওয়াও! অনেক ভালো লেগেছে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে ‘হ্যানি সুইং’ নাগরদোলা। কী ঘুরলো রে বাবা!’ এমন করেই তার অনুভূতি প্রকাশ করলো সে।

তবে ঘোরাঘুরি শেষে আবিরের আফসোস থেকেই গেলে। কারণ, প্রজেক্টর নষ্ট থাকার কারণে নাইন-ডি মুভি দেখতে পায়নি সে।

একই স্কুলের কাজী সাহেবুর রিদা। তার চোখে-মুখেও বিস্ময়! পার্কে বাজানো ‘আমাদের দেশটা স্বপ্ন পুরি, সাথী মোদের ফুল পরী’ গানের সঙ্গে তাল মিলিয়েই যাচ্ছে।

কথা হলো রিদার সঙ্গে। সে বলে, ‘ঘুরতে আমার ভালো লাগে। আর এখানে এসে ভালো লেগেছে জ্যাম্পিং বোর্ড। সঙ্গে  ট্রেনে চড়তেও ভালো লেগেছে।’

গত তিন বছর ধরে বাণিজ্যমেলায় শিশুদের এসব বিনোদনের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে সারিকা ফ্যান্টাসি অ্যামেইজিং ওয়ার্ল্ড। শিশুদের জন্য এখানে আছে ট্রেনযাত্রা, টু-ইস্ট, নাগরদোলা, হেলিকপ্টার, প্রাইভেট কার, ঘূর্ণি, ডোরিমন, মেরিগো, জ্যাম্পিং বোর্ড, নাইন-ডি মুভি, থ্রি-ডি মুভিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা। এখানে প্রতিটি রাইড ব্যবহারে ৩০ টাকা করে লাগে। এছাড়া নাইন-ডি মুভি দেখতে ১০০ টাকা টিকিট কাটতে হবে।

তবে অটিস্টিক শিশুদের জন্য প্রত্যেকটি রাইট ফ্রি রেখেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, আজকের (রোববার) জন্য সেন্ট প্যাট্রিকস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য মেলার প্রতিটি রাইট ফ্রি করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সারিকা ফ্যান্টাসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মাহবুবুর রহমান পলাশ বলেন, ‘শিশুদের বিনোদনের কথা চিন্তা করে আমরা মেলায় এ ধরনের আয়োজন রেখেছি। পার্কের প্রতিটি রাইট অটিস্টিক শিশুদের জন্য ফ্রি । এছাড়া মাঝে মাঝে স্বাভাবিক শিশুদের জন্যও ফ্রি করার চেষ্টা করি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *