ঢাকা: প্রবল তুষারঝড়ে স্থবির হয়ে পড়েছে ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন কোটি কোটি মানুষ।
তবে তুষারপাত প্রায় বন্ধ হয়ে আসায় নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় রোববার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় (বাংলাদেশ সময় রোববার সন্ধ্যা ৬টা) যোগাযোগ ব্যবস্থায় স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, প্রবল তুষারঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, ঝড়জনিত কারণে শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) পর্যন্ত ১২ জনের প্রাণহানীর খবর পাওয়া গেছে। পরে নিউইয়র্ক ও মেরিল্যান্ডে আরও অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড়টিকে ‘স্নোম্যাগাড্ডন’ ও ‘স্নোজিলা’ নামে অভিহিত করা হচ্ছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ঝড়টির মাত্রা ধীরে ধীরে কমে আসছে এবং এটি আটলান্টিক মহাসাগরের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত আট কোটি পঞ্চাশ লাখের মতো মানুষ এ ঝড়ে আক্রান্ত হয়েছেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় এর মধ্যে দুই লাখের মতো মানুষ অন্ধকারে দিনযাপন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তুষারঝড়ের কারণে ওয়াশিংটন ডিসি’র মূল দুই বিমানবন্দর রোনাল্ড রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ও ডালাস ইন্টারন্যাশনালে রোববারও সবধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে নিউইয়র্কে কিছু এয়ারলাইন স্বল্পমাত্রায় কার্যক্রম চালু করতে পারে।
এদিকে, নিউজার্সিসহ আটলান্টিক উপকূলীয় এলাকাগুলোয় বন্যার পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নিউইয়র্ক, টেনেসি, জর্জিয়া, কেনটাকি, নর্থ ক্যারোলিনা, নিউজার্সি, ভার্জিনিয়া, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, মেরিল্যান্ড, পেনসিলভানিয়া ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় জরুরি অবস্থা অব্যাহত রয়েছে।
সর্বোচ্চ তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার শেফার্ডস্টাউনে। এখানে ১০৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষারপাত হয়েছে।