ঢাকা: শীতের বৈরী হাওয়া লেগে সবার ত্বকই হয়ে যাচ্ছে শুষ্ক। শুষ্ক ত্বক মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। প্রতিদিন, প্রতিঘণ্টায় মারা যাচ্ছে ত্বকের কোষ। মৃতকোষ জমা হতে হতে লোমকূপের গোড়া বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে দেখা দেয় ব্রণ ও ৠাশের মতো সমস্যা।
শীতের মৌসুমে কয়েকটি খাবার খেয়ে কমাতে পারেন ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতা। একনজরে জেনে নেওয়া যাক সেসব খাবারের কথা।
নারকেল
ত্বকের যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য নারকেল জাদুকরী একটি খাবার। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যা ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়। লো ফ্যাট খাবারে পুষ্টি থাকে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজও করে। তবে একেবারেই ফ্যাটবিহীন খাবার ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ কিছু ফ্যাট প্রয়োজন। নারকেলে যেটুকু পরিমাণ ফ্যাট রয়েছে, তা ত্বকের তৈলাক্ততা ধরে রাখে ও ত্বকের দাগ দূর করে। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপার্টিজ। ত্বকের রুক্ষতা এড়াতে নারকেল, নারকেলের দুধ ও তেল খেতে পারেন।
জলপাই
জলপাই ভালো ফ্যাটে পরিপূর্ণ। এতে রয়েছে আন-স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও অ্যান্টি-এজিং উপকারিতা। ভিটামিন ই এর উৎস হওয়ায় জলপাই শুষ্ক ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে ময়েশ্চারাইজ করে। খাবারে ও বাহ্যিকভাবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যাভোকাডো
শুষ্ক ত্বকের জন্য অ্যাভোকাডো মিরাকল ফুড হিসেবে পরিচিত। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন বি, ই ও প্রোটিন। এর ভেতরকার ফ্যাট ত্বকে চকচকেভাব এনে দেয়। অ্যান্টি-এজিং ফুড অ্যাভোকাডো ত্বকের তৈলাক্তভাব বজায় রাখে, ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়, ত্বক পরিষ্কার করে ও তারুণ্য ধরে রাখে।
ওটমিল
শুষ্ক ত্বকের প্রতিকার হিসেবে ওলমিল অনেক আগে থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে। শুষ্কতা এড়াতে ওটমিল খেতে পারেন এবং ত্বকে এর প্রলেপও ব্যবহার করতে পারেন। ওটমিল ত্বকের রুক্ষতা, ৠাশ ও দাগ দূর করে। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ। এর মধ্যকার ফাইবার হৃদপিণ্ডের সুস্থতা বজায় রাখে। এছাড়া, ফাইবার ত্বকের মরাকোষ সরে যেতে সাহায্য করে।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু ভিটামিন এ এর উৎকৃষ্ট উৎস। ভিটামিন এ ত্বকের ময়েশ্চারাইজার লক করে, ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে ও উজ্জলতা ধরে রাখে। মিষ্টি আলুতে আরও রয়েছে ভিটামিন সি। যা শীতের আবহাওয়ার খারাপ প্রভাব থেকে ত্বককে বাঁচায়। মিষ্টি অালু ছাড়াও শীতে প্রচুর গাজর, মিষ্টিকুমড়া ও কাঁচা হলুদ খান।