ঢাকা : রাজধানীর কল্যাণপুরের পোড়া বস্তিতে অবস্থানরতদের হয়রানি না করতে এবং উচ্ছেদ অভিযানে ৩ মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার পর বিচারপতি তারিকুল হাকিম ও বিচারপতি ভিষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টার সময় কল্যাণপুরের পোড়া বস্তিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে বস্তিবাসীর সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল ছুঁড়েছে পুলিশ। তবে এতে কোনো ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন এ জমিটি দখল করে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছে বস্তিবাসীরা। তবে সম্প্রতি বস্তিটি উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এজন্য বস্তিবাসীকে দুই দিন সময় বেঁধে মালামাল সরিয়ে নেয়ার নোটিশ দেয়া হয়েছে। বুধবার ছিলো এর শেষ দিন। তবে নোটিশ দেয়ার পর থেকে বস্তিবাসীর মধ্যে উচ্ছেদ আতঙ্ক বিরাজ করে। বুধবার সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধনও করেছেন তারা।
বস্তিবাসী মিরাজুল ইসলামবলেন, ‘এর আগে এ বস্তি উচ্ছেদ করতে চাইলে আদালতে একটি রিট করা হয়। সেই সময় আদালত স্থগিতাদেশন দেন। এরপরও আদালতের আদেশ অমান্য করে কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। আমরা গরিব। দিন আনি দিন খাই। এখন আমরা মালামাল নিয়ে কোথায় যাবো? আমরাকি মানুষ না?’
এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ভূঁইয়া মাহবুব হোসেন বাংলামেইলকে বলেন, ‘কল্যাণপুর বস্তিতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উচ্ছেদ অভিযান চলছে। উচ্ছেদ যখন হচ্ছে বাধাতো দিতে তারা চেষ্টা করবেই। ঘটনাস্থলে দু’জন ম্যাজিস্ট্রেট আছেন, পুলিশও আছে। তবে কোনো ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।’
ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ও বুলডোজার নিয়ে বস্তি উচ্ছেদে যায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। এরপর বস্তিবাসীর পক্ষ থেকে বস্তি উচ্ছেদ না করার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকার বিষয়টি জানিয়ে দেয় বস্তিবাসীকে। এর পর চলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টধাওয়া। এসময় পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেলও ছোঁড়া হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ট টিয়ার সেল ছোঁড়ে পুলিশ।