ঢাকা: কর্মবিরতি ও আন্দোলন স্থগিত করে ফের ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন নেতারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পর দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার (২০ জানুয়ারি) থেকে শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরে যাবেন।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বৈঠক শেষে শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন নেতারা তাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। বিকেল সোয়া ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের মুজাফফর অাহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে শুরু হয় বৈঠক। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অাসা শিক্ষক ফেডারেশনের নেতারা অংশ নেন। ফেডারেশনের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন অাহমেদের সভাপতিত্বে চলে এই বৈঠক।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে গণভবনে পিঠা উৎসবের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেড় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মহাসচিব অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালসহ আটজন শিক্ষক নেতা ছাড়াও সরকারের তিন সচিব অংশ নেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম জানান, শিক্ষকদের ৩ নম্বর গ্রেড থেকে ১ নম্বর গ্রেডে উন্নীতের জন্য পদোন্নতির সোপান তৈরির কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ১ নম্বর গ্রেডে যেতে অন্যান্য দাবি-দাওয়া বিবেচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অষ্টম বেতন কাঠামোতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেলে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি অধ্যাপক পদের ‘অবনমন’ ঘটেছে বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। মর্যাদা ও বেতন প্রশ্নে বিভিন্ন পর্যায়ে আন্দোলনের পর গত ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করে আসছেন দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সপ্তম বেতন কাঠামোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-৩ এ উন্নীত হওয়াসহ যে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসতেন তা বহাল রাখার জন্য প্রস্তাব করেন শিক্ষকরা। এছাড়া গ্রেড-১ থেকে কিছু সংখ্যক শিক্ষককে সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদা প্রদানের জন্যও প্রস্তাব করা হয়।