নারায়ণগঞ্জে শহরের দুই নম্বর বাবুরাইল এলাকায় দুই শিশুসহ পাঁচজনকে খুনের ঘটনায় শফিকুল ইসলামের ভাগ্নে মাহফুজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন হেফাজতে পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
আলোচিত ওই ঘটনায় স্ত্রী, দুই সন্তান, ভাইবৌ ও শ্যালক হারিয়েছেন শফিকুল ইসলাম। শনিবার রাতে লাশ উদ্ধারের পর রোববার সকালে সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের মাহফুজকে সোমবার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানান। শুনানি শেষে বিচারক সাত দিন মঞ্জুর করেন বলে জানান অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সালাহ্ উদ্দীন সুইট।
তিনি বলেন, “মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে বলেছেন, আসামি মাহফুজ ঢাকায় থাকার সময় ছোট মামা শরীফের স্ত্রী লামিয়ার কাছে ‘যৌন আবেদন’ করত। মাহফুজের উত্ত্যক্তের কারণে তারা ঢাকার বাসা ছেড়ে নারায়ণগঞ্জে ভাড়া বাসায় চলে আসে। এখানেও মাহফুজ তার মামীকে (লামিয়া) উত্ত্যক্ত করে।
“বিষয়টি লামিয়া তার স্বামী শরীফকে জানালে মাহফুজ ক্ষিপ্ত হন। এই কারণে বাদীর সন্দেহ মাহফুজসহ অজ্ঞাত দুস্কৃতিকারীরা মিলে এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।”
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের বলেন, “সুষ্ঠু, নির্ভুল তদন্তের জন্য কাজ করছি। এটি একটি আলোচিত হত্যাকাণ্ড। এই মামলার যাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বা পাওয়া যাবে তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হবে।”
শনিবার রাতে দুই নম্বর বাবুরাইল এলাকায় শফিকুল ইসলামের ভাড়া বাসার দরজার তালা ভেঙ্গে তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪০), ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), শ্যালক মোরশেদুল (২৫) ও ছোটভাই শরীফের স্ত্রী লামিয়ার (২৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদেরকে শ্বাসরোধ ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার পর পুলিশ নিহত শফিকুলের ভাগ্নে মাহফুজ ও তাসলিমার খালাতো ভাই শাহজাদাকে আটক করে।
শফিকুল মামলায় তার স্ত্রী তাসলিমার সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে ঢাকার একটি পক্ষের বিরোধ ও ছোটভাই শরীফের স্ত্রী লামিয়াকে ভাগ্নে মাহফুজের ‘যৌন আবেদন’ করার বিষয়টি উল্লেখ করেন।