নারায়ণগঞ্জ: মহানগরের দেওভোগ এলাকায় একই পরিবারের ৫ জনের কারোই গলাকাটা হয়নি বরং মাথায় আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন হত্যাকাণ্ডের তদন্তে গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট ময়নাতদন্ত কমিটির প্রধান ও নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. আসাদুজ্জামান।
রোববার দুপুর আড়াইটায় ময়নাতদন্ত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
ডা. আসাদুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে একদিন আগে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় কোনো ধরনের চেতনানাশক প্রয়োগের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
এর আগে ডা.আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে তিনি সদস্য বিশিষ্ট ময়নাতদন্ত কমিটি ঘটনা করা হয়। ওই কমিটির অন্য দুইজন হলেন- একই হাসপাতালের ডা. তোফাজ্জাল হোসেন ও ডা. মফিজ উদ্দিন।
ময়নাতদন্তের রির্পোট প্রসঙ্গে ডা.আসাদুজ্জামান জানান, নিহতদের কারো গলাকাটা হয়নি। তবে তাদের গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও তাদের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মাথায় আঘাতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষণের তাদের মৃত্যু হয়েছে। তাদের শরীরে হত্যাকারীদের হাতের ছাপ পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং বাবুরাইল খানকা মোড় এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসায় একই পরিবারের পাঁচজনকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহতরা হলেন- গৃহবধূ তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০) ও মেয়ে সুমাইয়া (৫), ছোট ভাই মোরশেদুল (২২) ও তাসলিমার জা লামিয়া (২৫)। এ ঘটনায় পরে ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।