গাজীপুর: আখেরি মোনাজাতের অপেক্ষায় লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। দু’হাত তুলে মহান অাল্লাহর দরবারে নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা চাওয়া আর সুখ-সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করার ক্ষণ। মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জামাতের আসর ৫১তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে এবারের আয়োজন।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে শুরু হবে মূল দোয়া-মোনাজাত। যার মধ্য দিয়ে এ বছরের মতো সমাপ্তি ঘটবে তিনদিন ধরে চলা তাবলীগ জামাতের লাখ লাখ মুসল্লির ইজতেমা। কর্তৃপক্ষ জানায়, তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিদের পরামর্শে ভারতের দিল্লির মারকাজের শূরা সদস্য হযরত মাওলানা মুহাম্মদ সা’দ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন।
সারা দুনিয়ার মানুষের সুখ-শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হবে। আখেরি মোনাজাতে দেশ-বিদেশের প্রায় ৩০-৩৫ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেবেন বলে আয়োজকদের ধারণা।
এদিকে, শুক্র ও শনিবার দু’দিন ধরে ইজতেমা মাঠে পুরোটা সময় ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত ছিলেন মুসল্লিরা। প্রতিদিন ফজর থেকে এশা পর্যন্ত ইজতেমা মাঠে ঈমান, আমল, আখলাক ও দ্বীনের পথে মেহনতের ওপর আম বয়ান অনুষ্ঠিত হয়।
ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে মুসল্লিদের সুবিধার্থে শনিবার বিকেল থেকেই ওই এলাকায় যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এবারের বিশ্ব ইজতেমায় উল্লেখযোগ্য দিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রায় ৬ হাজার র্যাব ও পোশাকধারী পুলিশের পাশপাশি রয়েছেন সাদা পোশাকে কয়েক হাজার গোয়েন্দা সদস্য। আকাশ ও নৌপথেও আছে র্যাবের সতর্ক নজর।
দ্বিতীয় পর্বে ১৬টি জেলার মুসল্লিরা অংশ নিয়েছেন। ইজতেমায় মুসল্লিদের অংশ নেওয়ার জন্য জেলা অনুযায়ী পুরো প্যান্ডেলকে ২৯টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে।
খিত্তা অনুযায়ী এসব জেলাগুলো হলো- ১নং থেকে ৭নং খিত্তায় ঢাকা জেলার বাকি এলাকা, ৮নং খিত্তায় ঝিনাইদহ, ৯ ও ১১নং খিত্তায় জামালপুর, ১০নং খিত্তায় ফরিদপুর, ১২ ও ১৩নং খিত্তায় নেত্রকানা, ১৪ ও ১৫নং খিত্তায় নরসিংদী, ১৬ ও ১৮নং খিত্তায় কুমিল্লা, ১৭নং খিত্তায় কুড়িগ্রাম, ১৯ ও ২০নং খিত্তায় রাজশাহী, ২১নং খিত্তায় ফেনী, ২২নং খিত্তায় ঠাকুরগাঁও, ২৩নং খিত্তায় সুনামগঞ্জ, ২৪ ও ২৫নং খিত্তায় বগুড়া, ২৬ ও ২৭নং খিত্তায় খুলনা, ২৮নং খিত্তায় চুয়াডাঙ্গা এবং ২৯নং খিত্তায় পিরোজপুর জেলা।