ঢাকা: ব্রাজিলে তিনতলা থেকে নিচে পড়ে যাওয়ার পরও বেঁচে আছে মাত্র এক বছর বয়সী এক শিশু। শিশুটির পরিবার একে একটি অলৌকিক ঘটনা হিসেবেই দেখছে। কেননা অত উঁচু থেকে পড়ে কোনো প্রপ্তবয়স্ক মানুষেরও বেঁচে থাকার কথা নয়।
সম্প্রতি ব্রাজিলের সিয়েরা রাজ্যের ফোর্টালেজা শহরে এই অভিনব ঘটনাটি ঘটেছে বলে ডেইলি মেইল জানিয়েছে। সেদিন ১৪ মাসের হেলেনাকে ঘুম পারিয়ে রেখে তার মা গিয়েছিল সংসারের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারতে। শিশুটি ঘুমাচ্ছিল জানালার পাশের খাটে। ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর সে জানালার কাছে চলে যায় এবং গরাদবিহীন জানালা দিয়ে সোজা নিচে পড়ে যায়।ওঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে
কিন্তু ওমা, একি কাণ্ড! শিশুটি যে মাথা তুলেছে। রাস্তায় পড়ে থাকার বদলে আস্তে আস্তে ওঠতে শুরু করেছে। একসময় সে নিজের পায়ে ভর দিয়ে ওঠে দাঁড়ায়। তখন এক ট্যাক্সিচালক এসে শিশুটিকে কোলে তুলে নেন। তিনি আশেপাশে তাকান। না, কাউকেই তো দেখা যাচ্ছে না। একে নিয়ে কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। ইতিমধ্যে তার চারপাশে লোক জমা হয়ে গেছে।
আসলে হেলেনা যে পড়ে গেছে তার মা তো তা টেরই পাননি। তিনি ভেবেছিলেন তার মেয়ে এখনো ঘুমাচ্ছে। পরে রাস্তায় হৈ চৈ শুনে জানালায় উঁকি দিয়ে বুঝতে পারেন আসল ঘটনা। দৌড়ে নিচে ছুটে যান। তার কন্যাটি যে বেঁচে আছে তিনি কিন্তু প্রথমে তা বুঝতে পারেননি। পরে মেয়েকে জীবিত দেখে তার খুশী আর ধরে না। হেলেনাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান। তবে দু এক জায়গায় কেটে যাওয়া ছাড়া মেয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। ফলে চিকিৎসকরা তাকে ফার্স্ট এইড দিয়েই ছেড়ে দেন।
ঘটনার দিন হেলেনার দাদি তাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। গোটা ঘটনায় অভিভূত ওই বৃদ্ধা বলেন,‘এটি একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা। এর আগে আমি এমন দেখিনি। আমি বিশ্বাস করি ফেরেশতারাই আমার নাতনিকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।’
হেলেনারা তিন ভাই-বোন। তার বড় দু ভাইয়ের বয়স পাঁচ ও সাত।