দ্বিতীয় দফায় বিশ্ব ইজতেমা শুরুর দিনে দেশি-বিদেশি লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে ইজতেমা ময়দানে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর দেড়টার শুরু হওয়া এ নামাজ চলে ১টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত।
নামাজে খুতবা ও ইমামতি করেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. জোবায়ের।
ভোরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়। এটিই এ বছরের জন্য বিশ্ব ইজতেমার শেষ জুমার নামাজ।
বাদ ফজর ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমানের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দফা বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়। মূল বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা দেলোয়ার হোসেন।
জুমার নামাজে অংশ নিতে ইজতেমায় যোগদানকারী ছাড়াও রাজধানী ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার মুসল্লিরা ইজতেমাস্থলে হাজির হন। ভোর থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে ইজতেমা মাঠের দিকে। ইজতেমা মাঠে জায়গা না পেয়ে আশপাশের খোলা জায়গাসহ কামারপাড়া সড়ক ও অলি-গলি এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে হোগলা পাটি, চটের বস্তা, খবরের কাগজ বিছিয়ে নামাজে শরিক হয়েছেন মুসল্লিরা।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আসাদুর রহমান কিরণ প্রমুখ বিশ্ব ইজতোর ময়দানে অনুষ্ঠিত জুমার নামাজে অংশ নেন।
গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকার আব্দুল মতিন দুলাল বলেন, “এত বড় জুম্মার নামাজ দেশের কোথাও হয় না। এই জামাতে অংশ নিতেই এসেছি বিশ্ব ইজতেমায়। বড় ওই জামাতে শরিক হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।”
তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপে ঢাকাসহ দেশের ১৬ জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। এর জন্য ইজতেমা ময়দানকে ২৯ খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। মুসল্লিরা জেলাওয়ারি নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন।
আগামী ১৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আর এ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্ব।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ। এ দুই ধাপে দেশের ৩২ জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। বাকি ৩২ জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন আগামী বছর।